শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আত্মহত্যা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৪৩ পিএম

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ক্লাব রেইমসের চিকিৎসক বার্নার্ড গনজালেজ। ৬০ বছর বয়সী এই চিকিৎসক স্ত্রীসহ করোনায় আক্রান্ত হলেও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেননি। আত্মহত্যার পথই বেছে নেন তিনি। একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন বার্নার্ড গনজালেজ। সোমবার তথ্যটি নিশ্চিত করেন রেইমসের মেয়র আর্নড রবিনেট। তবে সুইসাইড নোটে কী লেখা ছিল তা জানাননি তিনি। কারণ রেইমস মেয়র নোটটি পড়েননি। তিনি জানান, বার্নার্ডের মৃত্যুতে শুধু রেইমস ক্লাবই নয়, পুরো শহরের মানুষ শোকাহত। কারণ সকলের খুব প্রিয় ছিলেন বার্নার্ড। সবার সঙ্গেই তার চমৎকার সম্পর্ক ছিল।

বার্নার্ডের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে রবিনেট বলেন, ‘তিনি আমাদের ক্লাবের চিকিৎসক ছিলেন। দারুণ পেশাদার একজন মানুষ বার্নার্ড। যে কারণে সবাই তাকে ভালবাসতেন, সম্মান করতেন। তার পরিবারের জন্য রইল আমার গভীর সমবেদনা। তিনি কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত ছিলেন। আমি জানি মৃত্যুর আগে তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখেছেন। কিন্তু আমি সেটা পড়িনি।’

ফ্রেঞ্চ ক্লাব রেইমসের সঙ্গে প্রায় ২৩ বছরের সম্পর্ক বার্নার্ড গনজালেজের। এই সময়ে তিনি ক্লাবটির চিকিৎসকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, যখন ক্লাবের দুর্দিন ছিল, তখন বিনামূল্যেই স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন বার্নার্ড। ক্লাব ছাড়াও শহরের সবাইকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গেছেন। সবার জন্যই খোলা ছিল বার্নার্ডের সাহায্যের দরজা।

তাই তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই রেইমস কর্মকর্তাদের। তাই তো ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কাইলটকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমার কিছু বলার ভাষা নেই। আমি বার্নার্ড গনজালেজের মৃত্যুর খবরে স্তব্ধ হয়ে গেছি। রেইমসের হৃদয়ে আঘাত করলো এই মহামারী। বার্নার্ডকে বলতে হয় রেইমসের একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এই ক্লাবের অন্যতম সেরা একজন পেশাদার মানুষ ছিলেন তিনি।’

রেইমস প্রেসিডেন্ট আরো বলেন,‘ক্লাবের সঙ্গে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন বার্নার্ড। নিজের কাজের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বে কখনো ছাড় দেননি। পুরোপুরি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন বছরের পর বছর। ক্লাবের খারাপ সময়ে বিনা পারিশ্রমিকে সেবা দিয়েছেন। নিজের কাজকে একটা শিল্প বানিয়েছিলেন বার্নার্ড। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন