উত্তর : অবশ্যই দোষনীয় হবে। কেননা, এই মুহূর্তে তাবলীগী জামাত, দোয়া মাহফিল ও লোকসমাগম এড়িয়ে চলাই ইসলামের নির্দেশ: ইবনে হাজর আসকালানী (রহ.) মহামারি সম্পর্কে তার অনবদ্য গ্রন্ত্র ‘বিযলুল মাউন ফি ফাযলুত ত্বাউন’ এ দুটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। দামেস্কে একবার মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন তারা হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেছিলেন। আগে প্রতিদিন ৫০ জন করে মারা যেত দোয়া মাহফিলের পর হাজার মানুষ মারা যেতে লাগল। অনুরূপ, কায়রোতে ৮৩৩ হি সনে ব্যাপক মহামারি সৃষ্টি হয়েছিল। সকলে তিন দিন রোযা রেখে মরুভূমিতে গিয়ে দোয়া করল। জমায়েতের ফল হল হিতে বিপরীত। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে গেল দৈনিক হাজারে।
দোয়া মাহফিল ভালো নি:সন্দেহে। কিন্তু মহামারির সময় ঘরে অবস্থান করা ইসলামের নির্দেশ। আর এ কারণে ভয়াবহ ‘আমওয়াস’ মহামারির সময় আমর বিন আস (রা) বললেন- ‘হে লোকসকল, এ মহামারি হল আগুনের মত। যখন আসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।কাজেই তোমরা পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়। তখন সকলে পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। প্রত্যেককে এখন ঘরমুখী হতে হবে এবং ঘরকে মসজিদে রূপান্তর করতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন