শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দিনাজপুরের পাটোয়ারী বিজনেজ হাউস এর উদ্ভাবিত আধুনিক মেশিন

বিনামুল্যে হাসপাতালসহ জনসমাগমপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরো শরীর জীবানুনাশক স্প্রে করার যন্ত্র

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৩৮ পিএম | আপডেট : ১০:০৯ পিএম, ৬ এপ্রিল, ২০২০

সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে অপ্রতিরোধ্য মরণ ব্যাধি করোণা ভাইরাস প্রতিনিয়ত ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। পৃথিবীর উন্নত সকল দেশ কঠোরভাবে লকডাউন ব্যবস্থা কার্যকর করেও বিস্তার ঠেকাতে পারছে না। বাংলাদেশ সরকারও চেষ্টা করছে মানুষকে ঘরে রাখার জন্য। কিন্তু কেউ যেন মানতেই চাচ্ছে না। বাংলাদেশেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোণা ভাইরাসকে পূজি করে অনেকেই ফায়দা লুটছে। কিন্তু আল্লাহর এই জমিনে এখনও অনেকে আছেন যারা ব্যবসা নয় মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করাতেও বেশী আনন্দ পেয়ে থাকে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক প্রয়াত আবুল হোসেন পাটোয়ারীর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হাসপাতালসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানে আগত নি¤œ-অসহায় মানুষদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবানুনাশক প্রয়োগের যন্ত্র আবিস্কার করে তা বিনামুল্যে স্থাপন করার কাজ শুরু করেছে। মূল ফটকে স্থাপিত দরজার ন্যায় প্রবেশ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করলেই পূরো শরীরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবানুনাশক স্প্রে হয়ে যাবে। বানিজ্যিকভাবে অর্থাৎ অর্থ দিয়ে নয় বিনামূল্যেই গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পাটোয়ারী (মোহন)।


প্রতিষেধক না থাকায় করোণা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র জীবানুনাশক স্প্রে, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। কিন্তু ১৬ কোটি বাসিন্দার এই দেশে স্প্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন ক্রয়ের ক্ষমতা কতজনের আছে। দিন আনতে নুন ফুরায় যাদের-তাদের আবার জীবানুনাশক স্প্রে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন গ্রহনের সময় কোথায়। এ অবস্থায় অসহায় মানুষদের বাঁচাতে দরকার সরকার ও ব্যবসায়ীদের। যাদের কাছে ও প্রতিষ্ঠানে অসহায় হতদরিদ্ররা খাদ্যের জন্য বা খাওয়ার জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে যায়। যার মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বাজার শপিং মল ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন এসব প্রতিষ্ঠান বা এলাকায় হাত দিয়ে স্প্রে করে ঢোকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় সকলকেই জীবানুনাশক স্প্রে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর এ ব্যবস্থা পূরোপূরী গ্রহন করা সম্ভব না হলে বাড়ীর বাহিরে বের হওয়া সাধারন মানুষের মাধ্যমে করোণা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সামাজিকভাবেই করোণা বিস্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।


বড় বড় প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, অফিসসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলিতে সকলের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবানুনাশক ব্যবস্থার যন্ত্র আবিস্কার করেছে দিনাজপুরের একটি প্রতিষ্ঠান। সিকিউরিটি সিষ্টেমের মত দেখতে একটি গেট মূল প্রবেশ পথে থাকছে। আগত মানুষেরা ওই গেটে পা দেয়া মাত্রই তার পূরো শরীর স্প্রে করা হবে। এজন্য ওই মেশিনেই থাকছে প্রয়োজনীয় জীবানুনাশক স্প্রে। এর ফলে হাতে বা পাম্প দিয়ে আলাদা আলাদাভাবে কাউকেই স্প্রে দিতে হবে না।
দিনাজপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক প্রয়াত আবুল হোসেন পাটোয়ারী’র প্রতিষ্ঠিত পাটোয়ারী বিজনেস হাউস (প্রাঃ) লিমিটেড যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন। ইতিমধ্যেই নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করেছে। মেশিনটি বানিজ্যিকভাবে নয় কেবল করোণা থেকে জাতিকে রক্ষায় মেশিনটি হাসপাতাল, থানাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।


প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহনান পাটোয়ারী মোহন জানালেন ব্যবসা নয় আমার উদ্দেশ্য দেশের মানুষকে রক্ষা। একেকটি মেশিন তৈরীতে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু এটি বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছি না। কেবলমাত্র সাধারন মানুষকে করোণার ভয়াল আগ্রাসন থেকে বাঁচানোর জন্যই এটি তৈরী করছি। কেননা হাসপাতাল বা শপিংমলে একটি মেশিন স্থাপন করতে পারলে হাজার হাজার মানুষকে করোণা’র জীবানু থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
আবু বকর ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২১ এএম says : 0
mohon vhai, ami policeder nie kaj kori. coxbazar e ekta deya jay. janaben.?
Total Reply(0)
Armina Hossain ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৩ এএম says : 0
প্রতিষ্ঠানের মালিককে অনেক অনেক ধন্যবাদ এইরকম মহান কাজের জন্য৷ আল্লাহ উনার মংগল করবেন ইনশাআল্লাহ
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন