শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লকডাউন, আইসোলেশন এবং হোম কোয়ারেন্টিন ৭ এপ্রিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৯ এএম | আপডেট : ৯:৫৮ পিএম, ৭ এপ্রিল, ২০২০

 

ফুলপুরে একাধিক পাড়া-মহল্লা, গ্রাম স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে এলাকাবাসি
ফুলপুর(ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
করোনা ভাইসার সংক্রমণ প্রতিরোধে ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক পাড়া-মহল্লা, গ্রাম আজ মঙ্গলবার নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্চায় লক ডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন ।
এলাকাবাসির নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্চায় লক ডাউন করা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফুলপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড, পৌরসভার কুরেরপাড় এলাকা, ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড, রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের মাটিচাপুর গ্রাম, সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। স্থানীয় লোকজন নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্ছায় এসব এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা গাছ, কাঠ ও খুটি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে এবং লাল পতাকা টানিয়েছে। স্থানীয় লোক জন স্বেচ্ছায় লক ডাউন করে এসব এলাকায় বাহিরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেনা এবং এখান থেকে কাউকে বাহিরে যেতে দিচ্ছে না।

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বেচ্চায় লক ডাউনকৃত এসব এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসির উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার অাশ্বাস দেন। এসময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ঘরে থাকুন, নিজে বাচুন অন্যকে সংক্রমিত হওয়া থেকে বাচান। অযথা বাহিরে ঘুরাঘুরি করবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে বের হলেও মাস্ক ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

মতলব গ্রামের করোন প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় লকডাউন
মতলব উত্তর (চাঁদপুর)উপজেলা সংবাদদাতা
চাঁদপুরের মতলব উপজেলার গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় করোনা প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছেন গ্রামের যুবসমাজ। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে গ্রামের প্রবেশ পথের রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে। একান্ত প্রয়োজনে কেউ গ্রামে প্রবেশ করলেও গ্রাম থেকে বের হয়ে ফিরে আসলে তাদের হাত ধুয়ে ও জীবাণুনাশক প্রয়োগের পর মিলছে অনুমতি।
নারায়নগঞ্জে করোনায় আক্তান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মতলবে জনগন আতংকিত। নারায়নগঞ্জের সাথে মতলবে চলাচল ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিবিড়। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ হতে লোকজন মতলবের ওপর দিয়ে দক্ষিন অঞ্চলে যাতায়ত করছে। মতলবকে যাতে এ মূহুতে ব্যবহার করতে না পারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশের মতো মতলব উত্তর উপজেলায় যানবাহন ও লোকজনের চলাচল সীমিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করে কিছু লোক অপ্রয়োজনে গ্রামে অবাধে বহিরাগতরা চলাফেরা করছে। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে যুবসমাজরা বৈঠক করে এ গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করছেন।
সরদারকান্দি গ্রামের নূরে আলম পাটোয়ারী, রোয়েল, ওমর ফারুক, রিয়াদ হোসেন’সহ বেশ কিছু যুবক জানান, আমরা নিজেকে ও গ্রামবাসীকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি।
তারা আরও জানান, জরুরি প্রয়োজনে কেউ গ্রামে প্রবেশ করলে তাকে জীবাণুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে এবং কেউ বাহিরে থেকে ফিরে আসলে তাদেরকেও জীবাণুমুক্ত হয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে হবে। সেইসঙ্গে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি কেউ যেন বাড়ি থেকে বের না হন।
মতলব উত্তর থানা ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, করোনা মোকাবিলায় সরকার চাচ্ছে ঘর থেকে কেউ যেন বের না হয়। সে উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ ভালো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে অাসা যুবক সংক্রমন ছড়াতে পারে সন্দেহে লালমোহনে ৯ ঘর লকডাউন
ভোলা জেলা সংবাদদাতা
ভোলার লামোহনে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ছড়াতে পারে সন্দেহে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে অাসা যুবকের বাড়ি সহ ৯টি বসত ঘড় লক ডাউন করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
নির্বাহী অাফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান নাজিম পিতা মানু্ মিস্ত্রি নামে এক যুবক নারায়ণগঞ্জ থেকে লালমোহনে এসে অাত্বগোগপনে থাকে। সে নারায়ণগঞ্জ এলাকার করোনা ভাইরাস অাক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরনকারী এক ব্যাক্তির বাড়ী থেকে পালিয়ে এসেছে। তার সাথের কয়েকজন করোনায় অাক্রান্ত ছিল বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম নবিন। তাই খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঐ এলাকার করোনার সংক্রমন ছড়াতে পারে সন্দেহে ৯ টি বসত ঘড় লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে এবং পৌরসভার ২ জন ভিডিপি সদস্য দিয়ে তার পাহারার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ীতে বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছায় লকডাউন
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছায় লকডাউন করা হয়েছে। পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে গাছের গুড়ি ফেলে যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামের যুবকরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামের প্রবেশ পথগুলো বাঁশ দিয়ে বেঁধে দিচ্ছে। মঙ্গলবার কয়েকটি এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।


জানা গেছে, সরিষাবাড়ীর পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার বীর ঘোষেরপাড়ায় এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এ উপজেলায় আতঙ্ক বহুগুন বেড়ে গেছে। এ কয়েকদিন প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে লোকজন বাইরে চলাচল করলেও বর্তমানের চিত্র ভিন্ন। অতি প্রয়োজনীয় দোকানপাটগুলো খোলা থাকলেও রাস্তায় লোকজন খুব প্রয়োজন ব্যতিত কাউকে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকে সরিষাবাড়ীর প্রবেশ পথ দিগপাইত, ভাটারা, ডোয়াইল ও পিংনা এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পৌরসভার বাউসি, শিমলা, আরামনগর, সাতপোয়া, বলারদিয়ার, ঝালুপাড়াসহ প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়কে গাছের গুড়ি ফেলা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবী যুবকরা গ্রামের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাটাবুগা গ্রামের প্রবেশপথ বলারদিয়ার মাধুর মোড়ে নিউসান সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও অন্যরকম স্পোর্টসিং ক্লাবের উদ্যোগে একদল যুবক বাঁশ বেঁধে চলাচল সীমিত করেছে। এছাড়া সচেতনতার জন্য তারা সেখানে হাত ধোয়ার সাবান-পানির ব্যবস্থা করেছে।
নিউসানের সভাপতি শাহিনুর আলম সাইদ জানান, পাটাবুগা ছয়আনী বিলে প্রকৃতি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় জমায়। তাই বহিরাগতসহ মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল ঠেকাতে গ্রামের প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে বেঁধে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অপ্রয়োজনে বাইরে না আসতে বারবার নিষেধ করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন এলাকায় মাইকিং চলছে। সবাই সচেতন হলে করোনার বিস্তার ঠেকানো সম্ভব।

দেবহাটায় চারটি বাড়ি লকডাউন, ৩১ জনকে জরিমানা
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার দেবহাটায় চারটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে স্থাণীয় প্রশাসন বাড়িগুলোর মূল গেটে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। একই সাথে দেয়ালে হোমকরেন্টাইন কথাটি লিখে দেওয়া হয়। সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ থেকে এসব বাড়িতে লোকজন আসায় প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়েছে। বাড়িগুলোতে ২০ জন সদস্য রয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, স্থাণীয় প্রশাসন ওই বাড়ির সদস্যদের সকল প্রকার সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করবেন। কমপক্ষে ১৪ দিন তারা বাড়ির বাইরে আসতে পারবেন না।


এদিকে, করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৩১ জনকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসমাগম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলাব্যাপী সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার। জেলাব্যাপী চলছে মাইকিং, করা হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে।

 

করোনা সন্দেহে কুড়িগ্রামে ৪ দিনে ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ, গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জনসহ ৩০ জন হোম কোয়ারেন্টাইন
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জনসহ ৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকার সন্দেহে গত ৪ দিনে জেলার ৮ উপজেলায় ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কারো নমুনা ফলাফল আসেনি।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন মো: হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় ৩৫৭ জনের মধ্যে ৩২৭ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ সন্দেহে ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও ফলাফল পাওয়া যায়নি।

 

 

 

১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাহির থেকে বাঙ্গালী শ্রমিক ভিতরে ঢোকা বন্ধ ঘোষণা
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা
করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে আগামীকাল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পটুয়াকালী পায়রা তাপ বিদুৎ কন্দ্রে বাংলাদেশী শ্রমিক ভিতরে প্রবেশ বন্ধ ঘোষনা করেছেন পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। আজ ভিতরে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার পরে আগামীকাল থেকে পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের ভিতরে গুরুত্বপূর্ন প্রয়োজন ব্যাতীত কেহ ভিতরে প্রবেশ বা বাহির হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান জানান, পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্রর ভিতরে প্রতিদিন ১৭০০ বাঙ্গালী শ্রমিক কাজের জন্য প্রবেশ করে,যদিও তাদের পুরোপুরি স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে ভিতরে প্রবেশ করানো হয় ,এ ছাড়া ও ভিতরে বর্তমানে ১২ থেকে ১৩ ’শ চায়নীজ নাগরিক কর্মরত রয়েছে। তারা সকলেই সুস্থ রয়েছেন ,তারা ভিতরকার মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। করোনা সংক্রমনের পড়ে পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দে কর্মরত বেশ কিছু চায়নীজ নাগরিক চায়না থেকে কেন্দ্রে কাজে যোগদানের জন্য বাংলাদেশে আসলেও তাদেরকে ঢাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা শেষে এই কেন্দ্রে প্রবেশের পর পুরোপুরি কোয়ারেইন্টাইন শেষে কাজে যোগদান করতে দেয়া হয় এবং এ্ ব্যবস্থাটি পুরো পর্যবেক্ষন করেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন।
রেজওয়ান ইকবাল খান আরোও জানান, বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিতরে কাজের জন্য প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকলেও কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সহ ভিতরকার অপারেশনাল কার্যক্রম চলবে, প্রতিদিন এ কেন্দ্র থেকে ৪৫০-৫০০ মেগাওয়াট বিদুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় দুইটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে লকডাউন ঘোষনা
কেরানীগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা
ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নে এবার দুইটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে লকডাউন ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সেই সাথে ডায়াগনোস্টিক সেন্টার দুইটির সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চিকিৎসকদের সেখানে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লকডাউনকৃত ডায়াগনোস্টিক সেন্টার দুইটি হচ্ছে ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার ও জিনজিরা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার।
কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল জানান,গত রোবার জিনজিরা মডেল টাউনের ১ নাম্বার রোডের ৭২নাম্বার বাড়ির ৯তলার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা(৬৮) নামে এক ব্যক্তি করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিত হন। ওই ব্যক্তি জ¦র,সর্দি ও কাশি নিয়ে ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে চিকিৎসা করান। পরে তিনি জিনজিরা বাসরোডের জিনজিরা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারেও িিচকিৎসা করান। এজন্য বিশেষ নিরাপত্তর স্বার্থে ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারকে আগামি ১৫এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন এবং জিনজিরা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে আগামি ১৩এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনার আদেশ দেয়া হয় এবং সেই সাথে ওই দুই ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সব কর্মকর্তা,কর্মচারী ও চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে এলাকার সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন।এব্যাপারে ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডেপুটি ম্যানেজার এন্ড ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান,তাদের এই প্রতিষ্ঠানটি একটি চিকিৎসা সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগীরা তাদের চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য আসেন। কে করোনাভাইরাস রোগী তা পরীক্ষা করা ছাড়া তাদেও বোঝার কোন উপায় নেই। তাই অসতর্কভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে।তবে তারা এই ঘঁনায় আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সন্মুখিন হবেন।

 

টাঙ্গাইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে দুইজন, হোমকোয়ারেন্টাইনে ৬১ জন
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় দুইজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনসহ ৬১ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আইসোলেশনে থাকা তিনজনসহ হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা ৩৪ জনকে ছারপত্র দেওয়া হয়েছে। মোট হোমকোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয় ১৭৯০ জনকে। মোট ছারপত্র প্রদান করা হয়েছে ১৭২৯ জনকে।
এদিকে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম খান করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায় তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহে প্রেরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ৩২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমন পাওয়া যায়নি। বাকিদের রিপোর্ট এখনো পৌছেনি বলে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান জানান, সখীপুরে দুইজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত কোন করোনাভাইরাস রোগী সনাক্ত হয়নি। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর রয়েছে।

কক্সবাজারে ৪৫৫ জনের মধ্যে ৩৫২ জন হোম কোয়ারান্টাইন মুক্ত
বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার থেকে
কক্সবাজার জেলায় হোম কোয়ারান্টাইন থাকা ৪৫৫ জনের মধ্যে ৩৫২ জন কোয়ারান্টাইন মুক্ত হয়েছেন। হোম কোয়ারান্টাইন থেকে মুক্ত হওয়া এদের কারো কাছে করোনা ভাইরাস এর লক্ষণ পাওয়া যায়নি। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, আগামী ৩ দিনের মধ্যে এখনো হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা ১০৩ জনের কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড শেষ হলে কক্সবাজারে কোয়ারান্টাইনে আর কোন লোক থাকবে না।

সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান আরো জানান, কক্সবাজারে গত ২৪ মার্চ করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া মোসলিমা খাতুনের সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, নার্স, ক্লিনার, আত্মীয় স্বজন ও অন্যানদের হোম কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তাদের করো শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, এখন কক্সবাজারে কোন বিদেশি ও প্রবাসী আসার সুযোগ না থাকায় হয়ত আর কোয়ারান্টাইনের প্রয়োজন হবে না।

শরণখোলায় আরো এক ব্যাক্তি আইসোলেশনে
শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা
বাগেরহাটের শরণখোলায় কালু শেখ (৭০) নামের এক ব্যাক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টায় পুলিশ তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সে ওই দিন রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে আসেন।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এস এম ফয়সাল আহম্মেদ জানান, উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের মৃতঃ লালু শেখের পুত্র কালু শেখ দীর্ঘদিন পরে বাড়ি আসলে এলাকাবাসীর মধ্যে করোনা ভীতির সৃষ্টি হয়। পরে এলাকাবাসীর খবরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেই। তবে তার শরিরে কোন অসুস্থতার লক্ষন নেই। তার স্যাম্পল নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রামনের পর থেকে শরণখোলায় এর আগে দুইজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তাদের নমুনা পরীক্ষার পর করোনার উপস্থিতি না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয।

কুষ্টিয়ায় প্রবেশের তিনটি সড়ক বন্ধ
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা ও রাজবাড়ী থেকে কুষ্টিয়া জেলায় প্রবেশের তিনটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত এ তথ্য দেন।

সড়কগুলো হলো, চুয়াডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া প্রবেশের দুটি সড়ক ও রাজবাড়ী থেকে কুষ্টিয়ায় ঢোকার একটি। বন্ধ করা হয়েছে কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ির হালশা এলাকা ও মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ সড়ক সীমান্ত। আর রাজবাড়ি থেকে কুষ্টিয়ায় প্রবেশের কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা উপজেলার শিয়ালডাঙ্গী এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ তিন সড়ক দিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় কোনো গাড়ি বা মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, দুটি জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য তিন স্থানে পুলিশ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ অতি জরুরি সেবা এর আওতামুক্ত থাকবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু, এলাকা লকডাউন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের পূর্ব-সাহেব এলাকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর ওই এলাকা লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে লাশ দাফনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এজন্য পিপিই ও লাশ দাফনের সিকিউরিটি ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, যে ব্যক্তি মারা গেছেন তার বয়স ৪৬ বছর। তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ অর্থাৎ তীব্র জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিলো। সোমবারই ওই মনিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন। সেখানে তিনি ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বাড়ি ফেরার পর তিনি আলাদা একটি ঘরে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান জানান, তার মৃত্যুর পর চৌডালা ইউনিয়ন লকডাউন করা হয়েছে। চৌডালা ইউনিয়নের সঙ্গে গোমস্তাপুর উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগও সীমিত করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল শহরের প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট: জরুরী প্রয়োজন ছাড়া শহরে প্রবেশ নিষেধ
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। শহর থেকে বাহিরে যেতেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া শহরে সাধারণ জনগণের চলাচলেও থাকবে বিধি নিষেধ। অপ্রয়োজনে কেউ শহরে ঘোরাঘুরি করত পারবে না। একসাথে দুইজন ব্যক্তি চলতে পারবে না। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সোমবার (৬ এপ্রিল) রাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোশারফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ জনগণকে বার বার সর্তক করা হলেও সেটি তারা মানছেন না। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা শহরে প্রবেশের সকল পথ যেমন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস, এলজিডি মোড়, দেলদুয়ার-নাগরপুর রোডসহ সকল পয়েন্টগুলোতে জনসাধারণদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আর সেই নিষেধাজ্ঞা মানাতে থাকবে পুলিশের চেকপোস্ট। এই পয়েন্টগুলো দিয়ে টাঙ্গাইল শহরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, কেউ শহর থেকে বের হতে পারবে না। শহরে চলাচলেও এমন বিধিনিষেধ থাকবে। তবে এই সময় সকল জরুরী সেবা যেমন চিকিৎসা বা অন্য কোন অতি জরুরী কাজে অনুমতি সাপেক্ষে যাতায়াত করা যাবে। এক সাথে দুইজন লোক চলাচল করতে পারবে না। শহরের বিভিন্ন স্থানেও পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। অহেতুক কেউ যেন বাসার বাহিরে বের হয়ে শহরে চলাচল করতে না পারে, সে জন্য শহরে আসলে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি দেখাতে হবে।

তিনি আরও জানান, আজ সোমবার শহরে চলাচলে অনেককে সতর্ক করা হয়েছে। বেশ কিছু ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা আটক করা হয়েছে, যেগুলোতে সামাজিক দূরত্ব না মেনে যাত্রী বহন করা হচ্ছিলো। আগামীকাল থেকে ব্যাটারিচালিত অটো, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পায়ে টানা রিকশা চলাচল করতে পারবে, তবে এক রিকশাতে দুই জন যাত্রী হতে পারবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন