দক্ষিণাঞ্চলে জনসমাগম রোধ ও সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করনে আইনÑশৃঙ্খলা বাহিনী কিছুটা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় মঙ্গলবার রাস্তাঘাটে যানবাহন সহ লোক চলাচল অনেকটাই হৃাস পেয়েছে। মঙ্গলবার সরকারী নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনে কঠোর মনোভাব পোষনের পরে আইনÑশৃংখলা বাহিনী শক্ত অবস্থান গ্রহন করে। ফলে সোমবার সন্ধার আগেই বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের পথঘাট অনেকটা জনমানব শূণ্য হয়ে পড়ে। বরিশাল মহানগরীর অনেকস্থানে পুলিশ কাউকেই পথেঘাটে দাড়াতে দেয়নি। রিক্সায় একজনের বেশী চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে ওষুধ ছাড়া সব মুদি দোকান বন্ধের নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় আরো ৭২জন যূক্ত হবার মধ্যে দিয়ে হোম কোয়রিন্টিনে থাকা প্রবাসীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৪৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এসময় সুস্থ্যবস্থায় ২ হাজার ৯৬৯ জন কোয়ারিন্টিন শেষ করেছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ভোলা ও পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৫জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান হয়েছে। এর মধ্যে ভোলাতে ৩ জন ও পিরোজপরে ১ জন রোগী করোনার লক্ষন নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানালেও সেখানে খোজ নিয়ে ৭ জন রোগীর খবর পাওয়া গেছে। অপর একজন রোগী সুস্থ্য হয়ে ওঠায় মঙ্গলবার সকালে ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সোমবার সন্ধায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে শ^াস কষ্ট নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তিকে ভর্তি করার কিছুক্ষন পরে মারা যাওয়ায় তাকে করোনা প্রটোকলে গভীর রাতে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঐ রোগীর জ¦র, সর্দি বা গলা ব্যাথার কোন লক্ষন দেখা যায়নি। তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মঙ্গলবার ঢাকায় পাঠান হয়েছে। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরিক্ষার ‘পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন’টি মঙ্গলবারও চালু করা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন