শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাজধানীতে ২টার পর বন্ধ হয়ে গেছে বাজার-অলিগলির দোকান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৩৬ পিএম

সরকারের নির্দেশ মতো রাজধানীর বাজার ও অলিগলির দোকানপাঠ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার পরই এসব বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের এসময় মোটর সাইকেলে দোকান বন্ধের নির্দেশ দিতে দেখা যায়। এছাড়া গলির মোড়ের সবজি, ফল ও অন্যান্য ভ্যানে করে বিক্রি করা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোও সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
দোকানিরা জানিয়েছেন, দুইটার আগেই পুলিশ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গেছে। দুইটার দিকে এসে আবার তাগাদা দেয়। এতে যে কয়টা বন্ধে গড়িমসি করছিল তারাও দ্রুত বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। টহলরত পুলিশ সদস্যরা জানান, গলির মোড়গুলোতেই বেশি আড্ডা হয়। তাই এগুলোই বন্ধে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর মানিকনগর, মুগদা, শাহজাদপুর, নতুন বাজার, বাড্ডা, কুড়িলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
এর আগে গত সোমবার ওষুধের দোকান ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজধানীর কাঁচাবাজার ও সুপারশপসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সব ইউনিটকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুসারে, সুপারশপ ও স্বীকৃত কাঁচাবাজারগুলো ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চালু রাখা যাবে। পাড়ামহল্লার মুদি দোকানগুলো খোলা থাকবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। চালু থাকবে শুধুমাত্র ওষুধের দোকান।
জানা যায়, রাজধানীর যেসমস্ত বাজার স্বীকৃত নয়, রাস্তার পাশে থাকা সেসব কাঁচাবাজারগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া গলির মোড়ের কনফেকশনারি, পান দোকান, মুদি দোকানসহ সবধরণের দোকানই বন্ধকরে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে মানিকনগর বাজারে দিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানী তাদের দোকান বন্ধের তোড়জোড়ে ব্যস্ত। অনেকে ক্রেতার ভীড় থাকায় দ্রুত পণ্য দিয়ে বিদায় করছেন। অনেক সবজির দোকান বন্ধ হয়ে গেছে আগেই। কিছু খোলা থাকলেও তা বন্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। দুইটার পর মুগদা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকানপাঠ বন্ধ। ভ্রম্যমাণ সবজির দোকানগুলো পুলিশের ভয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মুগদা বাজারের নূর ম্যানশনের বিক্রেতা বলেন, সরকার পাড়ামহল্লার দোকান বন্ধ করতে বলেছে সাতটার মধ্যে। কিন্তু আমরাতো বাজারের দোকান এখন আমাদেরও বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তাই বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন, গলির দোকানগুলোতে বেশি আড্ডা হয় সেখানে বেশি নজর দেয়া দরকার।
এদিকে হঠাৎ বন্ধের তোড় জোড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা। দুটার পর তারা কোন দিকে যাবে বুঝতে না পেরে এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করছিল।
কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকর আনারস বিক্রেতা জহির মিয়া বলেন, মুগদা বাজার থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাই মানিকনগরের দিকে যা্চ্িছলাম। সেখানেও যেতে দেয় নাই। কোন দিকে যামু বুঝতে পারছিনা। যে দিকেই যাই পুলিশ আইসা বলে এলাকা ছাড়। তবে পুলিশের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন