শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা : বগুড়ার চিশতিয়া দরবার শরীফের ব্যাখ্যা

বিশেষ সংবাদদাতা, বগুড়া | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৫৭ পিএম

প্রখ্যাত ভাষা সৈনিক জাতীয় ব্যক্তিত্ব মরহুম এ্যাডঃ গাজিউল হকের পিতা এবং চিশতিয়া তরিকার পীর হযরত মাওঃ সিরাজুল হক চিশতির মাজারে গত ২৫ মার্চ এক অপ্রীতিকর ঘটনায় ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত,মরহুম পীর ছাহেবের নাতি ও ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ছেলে রাহুল গাজী সহ ২৩জনকে আটক করে পুলিশ ।
পরে মাঝ রাতে রাহুল গাজীকে ছেড়ে দিলেও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা দিয়ে বাকি ২২ জনকে হাজতে চালান করে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে বগুড়া পৌরসভার ২জন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নয়ন ও নুরুল আমিন নুরু ও রয়েছেন।
এক অকল্পনীয় বিরুপ পরিস্থিতির কারণে কারণে ক্লান্ত বিধ্বস্ত অপমানিত পীরজাদা রাহুল গাজী পরিস্থিতি সম্পর্কে মিডিযার কাছে মুখ খুলতে না পেওে ২৬ মার্চ ঢাকায় ফিরে যান।
সম্প্রতি ওই দরবার শরীফে সৃষ্ট এক অপ্রীতিকর ঘটনার ব্যাক্ষা দিয়ে চিশতীয়া দরবার শরীফের একটি ব্যাক্ষা পাঠানো হয়েছে । যেখানে বলা হয় , গত ৭০ বছর ধরে ২৫ মার্চ তারিখে ওই মাজার শরীফে ওরছ ( শরীফ ) হয়ে আসলেও এবছর সেখানে ওরছের কোন আয়োজনই ছিলনা ।
মাজার শরীফের পাশের এক প্রভাবশালী প্রতিবেশি এবং ১জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীর্ঘদিন ধরেই যারা মাজার শরীফ উচ্ছেদ করে সেটার দখল নিতে অভিলাষি ছিল তারাই একটি ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। যার অংশ হিসেবে ২৫ মার্চ দুপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ পাঠায়। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ৪/৫ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওরছের কোন আযোজন না দেখে ফিরে যায়।
রাতে দরবার শরীফের নিয়মিত খাদেম , ঢাকা থেকে আসা রাহুল গাজী সহ কয়েকজন নিয়মিত নামাজী এশার নামাজের প্রস্তুতির সময় ফের স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও অপর এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে রাহুল গাজীর ওপর চড়াও হয় ও তাকে মারধর করতে থাকে ।
এতে রাহুল গাজীর বাড়ির নিযমিত কেয়ার টেকার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ ও কান্নাকাটি শুরু করলে আশে পাশের প্রতিবাদি অনেকেই সেখানে হুড়মুড় করে ঢুঁকে পড়ে। যাদের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের ক্যাডার টেম্পু শামীম ও তার দলবল ছিল , যারাই হযতো রাহুল গাজীর ওপর চড়াও হওয়া পুলিশদের আহত করে ।
যার পরিনতিতে দ্রুত এক অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম্ দেয়।
এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্ত্ত্বির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাহুল গাজী সহ ২৩ জনকে ধরে নিয়ে যায়। মাঝরাতে রাহুল গাজীকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের পরদিন জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
যাদের জেল হাজতে পাঠানো হয় তাদের মধ্যে দুজন সাবেক পৌর কাউন্সিলর রয়েছেন । বাকিরা সবাই বয়োবৃদ্ধ এবং একজন মানসিক প্রতিবন্ধীও রয়েছেন। সৃষ্ট এই ঘটনার সাথে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীরা আকিদাগতভাবে মাজার বিরোধি, জায়গা জমি কেনা বেচার সাথে জড়িত । মুলত তারা ন্যক্কার জনক ঘটনা ঘটানোর মাধ্যমে এটাই চাইছে যেন মাজার ও সংলগ্ন মুল্যবান ভু-সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্ব পালনকারীরা যেন চলে যেতে বাধ্য হয় এবং রাহুল গাজী যেন ঢাকা থেকে আর বগুড়ায় আসতে না পারেন ।
তবে করোনা জনিত সৃস্ট পরিস্থিতির অবসান হলে এব্যাপারে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে প্রেস কনফারেন্স সহ আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন রাহুল গাজী বলে জানানো হয় ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন