বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লকডাউন তোলার পরিকল্পনা করছে ইউরোপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৯:১৪ পিএম

ব্রিটেন এবং আমেরিকা এখন লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এ বিষয়ে তারা ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে যেখানে করোনা প্রাদূর্ভাব কমতে শুরু করেছে।

প্রথম দেশ হিসাবে অস্ট্রিয়া সোমবার লকডাউন তোলার বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। সেখানে ১৪ এপ্রিল থেকে ছোট দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ১ মে সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।

ডেনমার্কও ইস্টারের পরে নিষেধাজ্ঞা তুলতে শুরু করার পরিকল্পনা করেছে, তবে ট্রেন এবং বাসে ভিড় ঠেকাতে সরকার নিয়ন্ত্রিতভাবে লকডাউন তোলার পরিকল্পনা করছে। এদিকে জার্মানি ১৯ মে থেকে আঞ্চলিক ভিত্তিতে স্কুলগুলো আবার খুলতে এবং সংক্রমণের হার পর্যাপ্ত পরিমাণে কম থাকলে সীমিত সংখ্যক রেস্তোঁরা খোলার অনুমতি দেবে।

অন্য যে কোনও ইউরোপীয় দেশের তুলনায় দীর্ঘ সময় লকডাউনে থাকা ইতালিও লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা করছে। দেশটির কর্মকর্তারা এমন একটি ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের’ কথা বলছেন যেখানে

মাস্ক পরে এবং ‘পরীক্ষা’ বাড়িয়ে ভাইরাসের মোকাবিলা করা হবে। ইতালি এবং জার্মানি স্মার্টফোন ট্র্যাকিংয়ে যেতে পারা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, যার মাধ্যমে লকডাউনে না রেখেও নতুন প্রাদুর্ভাবগুলোর মোকাবিলা করা যাবে।

এই সমস্ত দেশগুলোর পাশাপাশি স্পেনেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলোর উন্নতির লক্ষণ দেখা গেছে। আশা করা হচ্ছে যে সংকটটি চূড়ান্ত পর্যায় থেকে নেমে এসেছে। ব্রিটেন এবং আমেরিকায় সংক্রমণ এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি, আগামী সপ্তাহ তাদের জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হতে পারে। তবে, ইউরোপের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তাৎক্ষণিকভাবে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে না এবং কমপক্ষে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলতে হবে।

স্পেন করোনা পরীক্ষা আরও বাড়িয়ে দিতে এবং কাজে আংশিক প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন যে, ইস্টারের পরে কিছু অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা যেতে পারে, ফলে কিছু লোক কাজে ফিরতে পারবেন। তবে দোকান, বার এবং রেস্তোঁরাগুলো অন্তত ২৬ এপ্রিল অবধি বন্ধ থাকবে।

ডেনমার্ক ১১ মার্চ থেকে লকডাউনে রয়েছে। তবে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পেলে তারা ইস্টারের পরে লকডাউন উঠানো শুরু করতে চায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যাট ফ্রেডেরিক্সেন বলেছেন যে, সরকার ধীরে ধীরে, নিয়ন্ত্রিতভাবে সবকিছু স্বাভাবিক করতে চাইছে।

মার্চের শেষের দিকে অস্ট্রিয়ায় সংক্রমণের হার শীর্ষে উঠেছিল। তারপর থেকে সংক্রমণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। দেশটির অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ প্রথম ইউরোপীয় নেতা হিসাবে গতকাল লকডাউন ব্যবস্থা অবসানের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেছেন। ১৪ মে থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল জানিয়েছেন যে, ‘ধাপে ধাপে’ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন যে, তিনি এখনও এই বিষয়ে কোনও তারিখ ঘোষণা করতে রাজি নন।

জার্মানিতে নজরদারি একটি সংবেদনশীল বিষয় যেখানে কঠোর গোপনীয়তা আইন থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রীরা কীভাবে স্মার্টফোন ট্র্যাকিং ব্যবহার করবেন তার মডেল হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে তাকাচ্ছেন। একটি জার্মান ইনস্টিটিউট এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে যা ফোনের মাধ্যমে বেনামে এবং অবস্থানের ডেটা ব্যবহার না করে লোকদের মধ্যে যোগাযোগের সান্নিধ্য এবং সময়কালকে দুই সপ্তাহ সংরক্ষণ করতে সক্ষম করে।

নরওয়ে ১২ এপ্রিল থেকে লকডাউন তোলার পরিকল্পনা করছে। কারণ প্রথমবারের মতো দেশটিতে সংক্রমণের হার 0.৭ শতাংশে নেমে গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেন্ট হোই বলেছিলেন, শুরু থেকে লকডাউন ব্যবস্থা বাতিল করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
সুমন ১১ এপ্রিল, ২০২০, ৫:১৩ এএম says : 0
ভালা
Total Reply(0)
Sultan ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৩০ পিএম says : 0
75% Europeans are corona patient.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন