লাগাতার ছুটির মধ্যে ব্যাংকিং সেবা সীমিত আকারে চালু থাকায় গ্রাহকদের লম্বা লাইন আর সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকের বাইরেও লম্বা লাইন সামাল দিতে পুলিশকে কাজ করতে হচ্ছে। প্রায় সব ব্যাংকেই জমার পরিবর্তে গ্রাহকদের টাকা তোলার প্রবণতায় নগদ অর্থের সঙ্কটও সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মার্চ মাসের বেতন এখনো না দেয়ায় ও গত ২৫ মার্চের পর থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার অর্থ প্রদান বন্ধ থাকায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে নিরব হাহাকার শুরু হয়েছে। এতদিন জমা টাকা তুলে সংসার চললেও ১৫ তারিখের পরে তাও চলবে না বলে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো নারী-পুরুষরা জানিয়েছেন।
গত রোববার থেকে ব্যাংকের লেনদেন ১ ঘণ্টা বৃদ্ধি করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত করা হলেও বরিশাল মহানগরীসহ সর্বত্রই ব্যাংকের সামনে লম্বা লাইন। সব মানুষেরই মলিন মুখ। প্রায় সবারই একটি কথা, জমা টাকা শেষ করে ফেলছি, এরপরে চলব কি করে ? এদিকে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও অন্য কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। ফলে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সঙ্কট বাড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন