বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর শহরে বুধবার সকালে মাত্র তিন ঘন্টার এক বৃদ্ধদম্পতির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরের সেরেস্তাদার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা গীতা রঞ্জন ভৌমিক (৮৩) মারা যায় । এর তিন ঘন্টা পরে ৯টার দিকে তার সিপ্রা রানী ভৌমিক (৭৫) বয়সী মারা যায়।
এ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ওই বাড়িতে পৌছায়। তারা খোজ খবর নেয়। পরিবার ও প্রতিবেশীর সাথে চিকিৎসকরা কথা বলেন।
মৃত দম্পতির ছেলে সুবল ভৌমিক বলেন, বাবা-মা দুজনেরই ডায়বেটিস ও হার্টের সমস্যা ছিল। দুজনকে ভারতে চিকিৎসা শেষে এবছরের জানুয়ারী মাসে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সে সময় থেকেই তারা অসুস্থ্য ছিলেন। বাড়িতে অবস্থান করতেন। তাদের শরীরে শ্বাসকষ্ট বা জ¦র ছিল না। করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর ২৫ মার্চ থেকে ওই পরিবারের কেউ বাড়ি থেকে বের হতেন না বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মোরেলগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেন বলেন, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এক দম্পতির মৃত্যুর খবর পেয়ে আমাদের মেডিকেল টিম ওই বাড়িতে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অবহিত হন। তারা জানতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন এবং বার্ধক্যজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি থাকায় ওই পরিবারের সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। সার্বক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বলেছি। এছাড়াও ওই পরিবারটিকে পর্যবেক্ষনে রাখার কথা জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, করোনার কোন উপসর্গ ওই পরিবারে পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মৃতদেহ দুটি দাহ না করে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মাটি চাঁপা দেওয়া হবে বলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তপন কুমার পোদ্দার জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন