শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নৌপথে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা থেকে আসছে মানুষ, অরক্ষিত হয়ে পড়ছে ভোলা

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৭ পিএম

ভোলা জেলা সংবাদদাতা। নারায়ণগঞ্জ সহ দে‌শের বি‌ভিন্ন এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর হয়ে নদীপ‌থে ভোলায় আসা ৪৫০ যাত্রীসহ ৩টি ট্রলার আটক করেছে পুৃলিশ। লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরীরহাট, মতিরহাট, আরেকজান্ডারসহ কয়েকটি নৌপথ দিয়ে ভোলায় ট্রলারযোগে মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা থেকে দৌড়ে আসছে। মানুষ আসছে বরিশাল হয়ে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ ট্রলারে আসছে এসব মানুষ। আর এসব মানুষ মানুষের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে। কিন্তু এ জন্য কারা দায়ী। প্রশাসনের উচিৎ এক্ষুনি কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুরোপুরি লকডাউন করা।
মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর এ নৌপথগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় নৌপথ হচ্ছে মজুচৌধুরীরর হাট -ইলিশা, মতিরহাট-ইলিশা, মতিরহাট-তুলাতুলি নৌপথ। ভোলা ইলিশাঘাট নিয়ন্ত্রণ করছে এক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনৈক বেপারি। এদের সঙ্গে কিছু দালাল, চামচা লোক আছে। যারা এদের কথায় কাজ করে। ভোলার ঘাটে ট্রলার থামালেই এসব রাঘব বোয়ালদের বখরা দিতে হয়।
আবার মজুচৌধুরীরহাট ঘাট নিয়ন্ত্রণ করে জনৈক মেম্বার , যিনি এখন জেলা পরিষদের সদস্যও। ঐ মেম্বার আবার ফারুক বেপারীর আত্মীয়। এরা এ নৌপথে লুটপাট করার জন্য আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ।
জন সাধারনের কথা হচ্ছে, ঘাট যেই নিয়ন্ত্রণ করে করুক। দুঃখ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে এই দূর্যোগ সময়ে অবৈধ ট্রলার, অবৈধ মানুষ প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে আসছে কিভাবে। যে মানুষের কারণে ভোলার মানুষ আতঙ্কিত!
এমনিতেই ভোলায় লোকসংখ্যা ২১ লাখের বেশি। আরও ৪-৫ লাখ ঢাকা-চ্ট্টগ্রামে ভাসমান ছিল। যারা গার্মেন্টস, কল-কারখানায় কাজ করতো। এখন সেখানে কাজ নেই। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে দেশে ফিরছে। এদের শরীরে যে জীবাণূ নেই, তা হলপ করে কেউ বলতে পারবে? লালমোহনে ৮ টি বাড়িতে এ রকম কয়েককজনকে প্রশাসন পেয়ে তাকে কোয়ারেন্টাইনে এবং বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। আশপাশের মানুষ সেটি জানতে পেরেছে বলে প্রশাসন এটা করতে পেরেছে। ভোলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ পালিয়ে আসছে। সরকারের নিয়ম মানছে না। ভোলার মানুষকে আতঙ্কগ্রস্থ করার জন্যে পালিয়ে আসছে। এমনিতেই আমরা অসচেতন, কিন্তু যারা সচেতন, তাদের ঘুমাতে দিচ্ছে না।
অনেকে অনেকভাবে জানাতে চেস্টা করছে কিন্তু কেন যেন কাজ হচ্ছে না। ফেসবুকতো এ বিষয়ে সরব। না রাজনীতিবিদ, না প্রশাসন, সবাই যেনো থম মেরে বসে আছে। যে এলাকায় এসব হচ্ছে, সেই ভোলা ইলিশায় একটি নৌথানা আছে। ভোলায় কোস্টগার্ডের দক্ষিণজোনের জোনাল কমান্ডারের কার্যালয়। সেখান থেকে পুরো দক্ষিণের জলসীমানা শাসন হয়। তাদের রয়েছে মেঘনায় চলার মতো দ্রুতগামী স্পিডবোট। মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটা ক্যাম্প আছে। এতো কিছু থাকার পরে এ নৌপথে সরকারের নিয়ম ভঙ্গ হয় কি করে। কিভাবে মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। সেখানে সারা দিন কোস্টগার্ডের নদীতে থাকার কথা। আর সেখানে ডেঞ্জারজোন উপেক্ষা করে অবৈধট্রলারে অবৈধ মানুষ আসছে।
সাধারন মানুষের আবেদন এসব ট্রলার মালিকদের আটক করে ট্রলার ধরে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া উচিৎ। আর মাঝিকে দেওয়া উচিৎ জেল।সামান্য কিছু জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না। তাই ভোলার ২০ লক্ষ মানুষকে বাচাতে প্রশাসনের এক্ষনি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন