শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শবে বরাতের যাবতীয় আমল একাকী ঘরে করা উচিত: আহমদ শফী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০৭ পিএম

আজ দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত। আল্লাহতায়ালার দরবারে কৃত পাপরাশির জন্য ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পালন করেন এবং পরের দিন নফল রোজা রাখেন। মহিমান্বিত রাত হিসেবে মুসলিমদের কাছে শবে বরাতের গুরুত্ব অনেক।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অনেক জায়গা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে সীমিত উপস্থিতির পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেমরা। এমতাবস্থায় একাকী শবে বরাতের যাবতীয় আমল ঘরে করা উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা শফী বলেন, শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে সহিহ ইবনে হিব্বানের হাদিসে এসেছে, ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহতায়ালা আপন সৃষ্টির প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেন। অতঃপর মুশরিক ও (মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে) শত্রুতা পোষণকারী ছাড়া সমস্ত মাখলুককে ক্ষমা করে দেন।’
তাই এই রাতে জেগে থেকে অধিক পরিমাণে আমল করা দরকার। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাসহ সকল রোগ থেকে মুক্তরি জন্য দোয়া করা।
দেশের শীর্ষ এই আলেম বলেন, শবে বরাতে একাকী ইবাদত করা হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহীহ হাদিস ও সাহাবিদের আমল থেকে প্রমাণিত। তাই এ রাতে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত, কৃত গোনাহ থেকে তওবা, আল্লাহতায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা প্রার্থনা করার পাশাপাশি জিকির-আজকার, দান-সদকা করুন সাধ্যমতো। পরিবার-পরিজনকে দ্বীনি কাজে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করুন।
বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী আরও বলেন, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে বেশ কিছু কুসংস্কার চালু রয়েছে। অনেকে হালুয়া-রুটির ব্যবস্থা ও মসজিদ আলোকসজ্জা করে থাকেন। নির্দিষ্ট সূরা দিয়ে নফল নামাজ পড়াকে আবশ্যক আমল মনে করেন। এসব বিদআত। অনেকে আবার শবে বরাত বলে বিছু নেই বলে বাড়াবাড়ি করেন। আমরা মনে করি, শবে বরাত বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িতে না গিয়ে নিজ নিজ ঘরে একাকী ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করা উচিত।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৫০২ জনের। ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ২৩ জন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে ওয়াল্ডোমিটার থেকে জানা যায়, আক্রান্তর মধ্যে বর্তমানে ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৮ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৮ হাজার ৭৯ জন (৪ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। দেশে দেশে চলছে লকডাউন

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Nazera Zahir Chowdhury ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৪ পিএম says : 0
Your activities are not like our Prophet Muhammad. So please don't give advice.
Total Reply(0)
Samir Apple ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৫ পিএম says : 0
কাকা। ওটা নফল ইবাদত। ঐ ঐ ঐ দিকে চাউল চোরদের নিয়ে ফরয কথা ... একটু যদি কিছু কইতেন।
Total Reply(0)
Mohammad Nur ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৫ পিএম says : 0
At the moment want all mosque full close.
Total Reply(0)
Shohag Ahmed ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৮ পিএম says : 0
বর্তমানে মক্কার প্রধান ইমামগন কোরান হাদিস এতো পরার পরেও এই ইবাদত গুলোর ফজিলত বুঝতে পারলোনা আর ওনার সবজান্তা। এতোই যদি বেশি বোঝেন তাহলে বর্তমানে পৃথিবীর সেরা দুই একজন বরো আলেমদের সাথে আলোচনা করে সমাধান করেন।
Total Reply(0)
মুহাম্মাদ ফজলে রাব্বী . ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৮ পিএম says : 0
আসুন, তাওবা করে গুনাহ মাফ করিয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন করি!
Total Reply(0)
Msmd Tanbir ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৯ পিএম says : 0
আল্লাহ সঠিক ভাবে মানার তৌফিক দান করুন।
Total Reply(0)
মেহেদুল ইসলাম ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৯ পিএম says : 0
আল্লাহ আমাদের সহি বুজ দান করুন সেই সাথে দ্বীনের পথে চলার তৌফিক দিন।আমিন
Total Reply(0)
Mohammad Asif ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪৯ পিএম says : 0
মুমিন বান্দার উচিত, এ রাতে জিকির ও দোয়ার জন্য পুরোপুরি অবসর হয়ে যাওয়া। উচিত হল, প্রথমে খাঁটি মনে তওবা করা; এরপর মাগফিরাত ও ক্ষমা প্রার্থনা করা; আপদ-বিপদ দূর হওয়ার জন্য দোয়া করা এবং নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া যে কাজ গুলো করতে বলা হয়েছে একটাও কি খারাপ কাজ? এই রাতে নফল ইবাদত এবং দিনে নফল রোজা রাখার কথা ইসলাম এ আছে।
Total Reply(0)
জয়নুল আবেদীন ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম says : 0
আজ যারা মাজারে মান্নত করেছিলেন টাকাগুলো আল্লাহর রাস্তায় দান করুন।
Total Reply(0)
MD Namatullah Naeem ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম says : 0
যারা আজ সবে বরাত পালন করবেন বলে ভেবে রেখেছেন, তাদের জ্ঞাতার্থে বলি... প্রিয় নবী রাসূল (স) এর জীবনে, সাহাবীদের জীবনে, তাবে-তাবেয়ীনদের জীবনে এবং পরবর্তী প্রায় ৬'শত বছরের ইতিহাসে সবে বরাত নামে কোন রাত আসেনি। পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদীসে লাইলাতুল ক্বদর ব্যতীত সবে বরাত নামে কোন রজনীর আলোচনাই নেই। শুধুমাত্র শাবান মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত ও নফল রোজার কথাই বলা হয়েছে। বিশেষ কোন রাতকে উদ্দেশ্য করা হয়নি। তাই আসুন, আমরা মনগড়া ভ্রান্ত ইবাদত পরিহার করি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন