শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লকডাউন, আইসোলেশন এবং হোম কোয়ারেন্টিন ১০ এপ্রিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৩০ এএম | আপডেট : ৯:৩৮ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২০

লালপুরে এক বাড়ি লকডাউন
লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা

ঢাকা হেমায়েতপুর থেকে নাটোরের লালপুরে ফেরত আসায় এক ব্যক্তির পরিবারকে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করেছে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় ঐ পরিবার কে লকডাউন করে পুলিশ।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে, ‘গত ১ তারিখে ঐ যুবক ঢাকার হেমায়েত পর থেকে লালপুরের কদিমচিলানে নিজ বাড়িতে ফেরত আসে। হঠ্যাৎ ৯ এপ্রিল তার শরীরের জ্বর অনুভুত হলে তাকে বড়াইগ্রাম পাটোয়ারী জেনারেল হাসপালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক জ¦রের জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন’।
ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ শাহেদ আহম্মেদ লকডাউনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ঢাকা থেকে ঐ যুবক তার নিজ গ্রাম উপজেলার কদিমচিলানে ফিরে আসে। পরে তার শরীরে জ¦র দেখা দিলে সে বনপাড়ারার পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে জ¦রের প্রাথমিত চিকিৎসা গ্রহণ করে। জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে ঐ একটি পরিবারকে ১৪ দিনের লকডাউন করা হয়েছে।’

কদিমচিলান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা লকডাউনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ঢাকা ফেরত ঐ যুবকের পরিবারকে ১৪ দিন বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারে ১০ কেজি চাউল দেওয়া হয়েছে।’

এব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান,‘ আমি এই বিষয়টি শুনেছি। তবে ঐ পরিবারকে ১৪দিন বাহিরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।’

 

লালপুরে ঢাকা ফেরত এক ব্যক্তির পরিবার লকডাউন
লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা

ঢাকা হেমায়েতপুর থেকে নাটোরের লালপুরে ফেরত আসা ১ এক ব্যক্তির পরিবারকে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করেছে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় ঐ পরিবার কে লকডাউন করে পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে, ‘গত ১ তারিখে ঐ যুবক ঢাকার হেমায়েত পর থেকে লালপুরের কদিমচিলানে নিজ বাড়িতে ফেরত আসে। হঠ্যাৎ ৯ এপ্রিল তার শরীরের জ্বর অনুভুত হলে তাকে বড়াইগ্রাম পাটোয়ারী জেনারেল হাসপালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক জ¦রের জন্য চিকিৎসা প্রদান করেন’।
ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ শাহেদ আহম্মেদ লকডাউনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ঢাকা থেকে ঐ যুবক তার নিজ গ্রাম উপজেলার কদিমচিলানে ফিরে আসে। পরে তার শরীরে জ¦র দেখা দিলে সে বনপাড়ারার পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে জ¦রের প্রাথমিত চিকিৎসা গ্রহণ করে। জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে ঐ একটি পরিবারকে ১৪ দিনের লকডাউন করা হয়েছে।’

কদিমচিলান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা লকডাউনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ঢাকা ফেরত ঐ যুবকের পরিবারকে ১৪ দিন বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারে ১০ কেজি চাউল দেওয়া হয়েছে।’

এব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান,‘ আমি এই বিষয়টি শুনেছি। তবে ঐ পরিবারকে ১৪দিন বাহিরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।’

 

গাইবান্ধা জেলা লকডাউন
গাইবান্ধা থেকে স্টাফ রিপোর্টার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে গাইবান্ধা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে । আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গাইবান্ধা জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ শুক্রবার বিকেল ৫ টার থেকে লকডাউন কার্যকর হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে । জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানান– লকডাউন চলাকালে সড়ক ও নৌপথে অন্য কোনো জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না এবং অন্য কোনো জেলায় গমন করতে পারবেন না । জেলার অভ্যন্তরে আন্ত:উপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও লকডাউন বলবৎ থাকবে । তিনি আরও জানান জরুরী পরিসেবা , চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ (লকডাউন) আওতার বাহিরে থাকবে । সভায় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্তিত ছিলেন - লে. কর্ণেল ফারজানা বাশার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম , সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ , জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুণ বাবলু , সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর মেয়র এ্ড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন , সদর উজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সরোয়ার কবীর সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

 

সাতক্ষীরায় কোয়ারেন্টাইনে ২৭০০ জন
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা


সাতক্ষীরায় ২৭০০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছে প্রশাসন। এরমধ্যে ৬৫০ জন রয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোরেন্টাইনে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন দুইজন।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকালে জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসমস্ত লোকজন সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাতক্ষীরায় এসেছেন। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে তাদেরকে কোরেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে আশাশুনি উপজেলায় ৩৫০ জন এবং শ্যামনগর উপজেলায় ৩০০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোরেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া, এই দুটি উপজেলায় ২০৫০ জন নিজ নিজ বাড়িতে কোরেন্টাইনে আছেন।

তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলা থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য ১২০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে আইইডিসআিরে। এপর্যন্ত ৮ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাদের রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। ৯

 

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সুপার,দুই ডাক্তার সহ ৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা
বরগুনার আমতলীতে গতকাল মারা যাওয়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গত ৮ মার্চ অসুস্থ অবস্থায় পটুয়াখালী হাসপাতালের পরিচালকের রুমে প্রবেশ করলে সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ।পরে তিনি গতকাল আমতলীতে মারা যায়। এদিকে আজ বিকেলে মৃত জিএম দেলোয়ারের রিপোর্ট কভিড-১৯ পজেটিভ আসে।

রিপোর্ট পটুয়াখালীতে আসার পরে হাসপাতালের সুপার ডা: আ: মতিন,ও পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা: মসিউর,২৫০ শয্যা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম) ডা: জিয়া নমুনা সংগ্রহকারী স্টাফ সহ ৬ জনকে কোয়ারেইন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ।

 

করোনা ভাইরাসের কারণে বহিরাগতদের হুলইল গ্রামে প্রবেশ নিষেধ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের হুলাইল যুব সমাজ কল্যাণ সংঘ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার সকাল থেকে তাদের গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করে রাস্তায় বাঁশ বেধে রেখেছে গ্রামবাসী।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে এলাকার লোকজন নিরাপদে থাকতে হুলাইল গ্রামবাসী বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করাসহ সাবান দিয়ে হাতধুয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরো জানান, করোনা ভাইরাস থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হুলাইল যুব সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ গ্রামবাসির লোকজন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা কেউ গ্রামের বাহিরে যাবো না এবং পরিবেশ ভাল না হওয়া পর্যন্ত বহিরাগত কোন ব্যাক্তিকে এই গ্রামে প্রবেশ করতে দেবো না। গ্রামের লোকজনের নিরাপদে থাকতে হাত ধুওয়ার জন্য প্রতিটি সড়কের সামনে পানি ও সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

 

 

গাইবান্ধার ৭ উপজেলা লকডাউন
গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
করোনাভাইরাসের বিস্তার এড়াতে গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে। বিকেল পাঁচটা থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারজানা বাশার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুণ ও সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সরোয়ার কবীর প্রমুখ।

সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, লকডাউন চলাকালে সড়ক ও নৌপথে অন্য কোনো জেলা থেকে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না এবং অন্য কোনো জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও লকডাউন বলবৎ থাকবে। তিনি আরও বলেন, জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।

 

ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব ক্যাম্প লকডাউন করেছে এলাকাবাসী
ঈশ্বরদী উপজেলা সংবাদদাতা

আজ সকাল ৮টা থেকে ঈশ্বরদী শহরের ঘনবসতিপূর্ণ আলহাজ্ব রিফিউজি ক্যাম্প এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার জন অধ্যুষিত এই এলাকায় প্রবেশের ৪ টি প্রধান রাস্তার মুখে বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে কেউ যাতে এলাকায় আত্মগোপন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত করতে না পারে সেজন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে এলাকার কাউন্সিলর ইউসুফআলী প্রধান জানান। এছাড়া বহিরাগত লোকজন যাতে অহেতুক দল বেঁধে এসে করোনা ভাইরাস ছড়াতে না পারে সেদিকেও গুরুত্ব দেয়াছে বলে তিনি জানান। করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে এই লকডাউন সচেনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করছে এলাকার মানুষ।

 

টাঙ্গাইলে নতুন ১১১ জনসহ ৩০৪ জন হোমকোয়ারেন্টাইন
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা

টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ১১১ জনসহ ৩০৪ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ২০৯৩ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭৮৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ১২টি উপজেলা থেকে নতুন ৪২ জনসহ মোট ১৩৮ জনের করোনা ভাইরাস সংক্রমনের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন পাওয়া গেছে। বাকিদের রিপোর্ট এখনো পৌছেনি বলে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন।

 

 

সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছায় লকডাউন
সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)উপজেলা সংবাদদাতা


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কর্ণিপাড়া স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে এলাকাবাসী ।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, গত তিনদিন থেকে স্বেচ্ছায় লকডাউনে থাকা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কর্ণিপাড়া এলাকায় ঢাকা থেকে তিনটি পরিবারের আগমন ঘটায় এলাকার লোকজন স্বেচ্ছায তাদের লকডাউন করে রেখেছে । এছাড়া ১ নং ওয়ার্ডের মীরগঞ্জ ও বালাপাড়ার লোকজনও প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে বেরিকেট দিয়ে বাইরের লোকজনের প্রবেশ ঠেকাতে লকডাউন করে রেখেছে। এলাকার সচেতন জনগণ তাদের ও এলাকাবাসির নিরাপত্তার স্বার্থে লক ডাউন করেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন নিশ্চিত করে জানান, লকডাউনে থাকা পরিবার গুলোকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল,ডাল,তেল,লবন ,আলু নিজ দায়িত্বে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

 

প্রাণ ঘাতী করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে গাইবান্ধা জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে
গাইবান্ধা থেকে স্টাফ রিপোর্টার 


প্রাণ ঘাতী কোরনা ভাইরাস এর সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে গাইবান্ধা জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে । আজ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গাইবান্ধা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । আজ শুক্রবার বিকেল ৫ টার থেকে লকডাউন কার্যকর হবে । পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে । জেলা প্রশাসক মো: আবদুল মতিন জানান – লক ডাউন চলাকালে সড়ক ও নৌপথে অন্য কোনো জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না এবং অন্য কোনো জেল্য়া গমন করতে পারবেন না । জেলার অভ্যন্তরে আন্ত:উপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও লকডাউন বলবৎ থাকবে ।তিনি আরও জানান জরুরী পরিসেবা , চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ (লক ডাউন) আওতার বাহিরে থাকবে । সভায় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্তিত ছিলেন - লে. কর্ণেল ফারজানা বাশার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম , সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ , জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুণ বাবলু , সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক , পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন , সদর উজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সরোয়ার কবীর সহ অন্যান্য কর্মকর্তা গণ ।

 

অঘোষিত লক ডাউনে নতুন আরো ১৯৩ জন যুক্ত হবার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৩
বরিশাল ব্যুরো

অঘোষিত লকডাউন পালনে কড়াকড়ির মধ্যে শুক্রবার বিকেলের পূর্ববর্তী ৪৮ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৯৩ জন যূক্ত হবার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে হোম কোয়ারিন্টিনের সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৩’এ উন্নীত হয়েছে। এসময় সুস্থ্যবস্থায় ২৩ জন চৌদ্দ দিনের হোম কোয়ারিন্টিন শেষ করেছেন। ফলে মোট কোয়ারিন্টিন শেষ করার সংখ্যা ৩ হাজার ৪০’এ উন্নীত হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।

অপরদিকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল। এদের মধ্যেবৃহস্পতিবার সন্ধায় নতুন একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠান হয়েছে। শুক্রবার সুস্থবস্থায় দুজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়াখালীর দুমকীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন।
এদিকে গত বুধবার বরিশালে মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর মেশিনটি চালু হবার মধ্যে দিয়ে করোনা সন্দেহের রোগীদের রক্তের নমুনা পরিক্ষা শুরু হলেও এখান থেকে ফলাফল জানান হবে না । মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সেল ফোনে জানান, তারা রক্ত পরিক্ষা করে পুরো ফলাফল ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠাবেন। সেখান থেকে ফলাফল জানান হবে। বরিশালে প্রতিদিন ৯০টি রক্তের নমুনা পরিক্ষা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে গত সোমবার শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বুকে ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হওয়া ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরিক্ষায় করোনা ভাইরাস-এর কোন সংক্রমন মেলেনি।

শুক্রবারও বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলে অঘোষিত লকডাউনে স্থবির ছিল জনজীবন। তবে বরিশাল মহানগরীর দুটি বাস টার্মিনালের মধ্যবর্তি মহাসড়ক সহ আরো কয়েকটি এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনে মাঝে মধ্যেই কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। নগরীর দোকাপাট সব বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র মুদি দোকানসমুহ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং কাঁচা বাজারর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু রয়েছে। বরিশাল মহানগরীর প্রতিটি কাঁচা বাজারের প্রবেস মুখে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। মাইকযোগে ক্রেতাদের নিরাপদ দুরত্ব রেখে চলাচল সহ দ্রæত কাজ সেরে ঘরে ফেরারও অনুরোধ করা হচ্ছে।

 

মতলবে করোনা রোগী সনাক্ত স্বামী-স্ত্রী আইসোলেশনে
মতলব উত্তর(চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই প্রথম চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হলো। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুসরাত জাহান মিথেন। রাত সোয়া ১টায় করোনায় আক্রান্ত রোগী ও তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

আক্তান্ত ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের পৈত্রিক বাড়ি রংপুরে। নারায়ণগঞ্জের লঞ্চঘাট সংলগ্ন একটি গেঞ্জির হোসিয়ারিতে চাকুরি করতো। গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় জ্বর নিয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় তার শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। সে আসলে এলাকায় মানুষ তাকে বাধা দেয়।
সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে গত সোমবার(৬এপ্রিল) তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ বলে জানা যায়। এ রির্পোট লেখাা পর্যন্ত কোন বাড়ি লকডাউন করা হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুসরাত জাহান মিথেন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রাখা হবে। তারা ভালো আছে। ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করছে। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, করোনায় সর্বাধিক আক্রান্ত ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে গত ক’দিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ চাঁদপুর এসেছে। নারায়নগঞ্জ কাছে হলো মতলব। এখন সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মতলব।

 

পটুয়াখালীতে প্রথম করোনায় আক্রান্ত যুবকের মৃত্যুতে দুমকি গ্রাম লকডাউন
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা

জেলার দুমকি উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মো. দোলোয়ার হোসেন দুলাল হাওলাদার (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার দুমকি গ্রামের নিজ বাড়ীতে তিনি মারা যান।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংঙ্কর কুমার বিশ্বাস জানান, গত ৫ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ থেকে মো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল হাওলাদার জ¦র নিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে আসেন। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায় এবং তাকে হোম কোয়ারেইন্টাইনে রাখেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে দুলাল মারা যান। দুলালের বাড়ীতে তার বাবা আব্দুস সোবাহান হাওলাদার গর্ভবতী স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছেন। তিনি জানান, যেহেতু দুলাল কারোনা আক্রান্ত তাই করোনা প্রটোকল অনুযায়ী তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ দিকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো: মতিউল ইসলাম চৌধুরী দুমকী গ্রামকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. জাহাঙ্গির আলম জানান, গত ৭ এপ্রিল দুলালের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তার নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে। এর আগে দুপুরে তিনি মারা যান। শুক্রবার তার পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও ওই এলাকার প্রায় ১৫০ মানুষ যারা তার সংস্পর্শে এসেছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করার তালিকা করা হচ্ছে। এই প্রথম পটুয়াখালীতে করোনায় পজেটিভ ধরা পরেছে।

তিনি জানান, পটুয়াখালী থেকে এ পর্যন্ত ১১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে এর মধ্যে ৪৫ জনের রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি। যার মধ্যে এই প্রথম করোনা পজেটিভ এসেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন