বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এরই নাম মা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪৫ এএম

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে কার্যত গোটা বিশ্বে লকডাউন চলছে। প্রতিবেশী ভারতেও পড়েছে এর প্রভাব। দেশটিতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনের ঘরের বাইরে যাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই বলে সন্তান ‘বিপদে’ আছে জেনে মা-তো চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না। তাইতো তিন দিন স্কুটি চালিয়ে ১৪শ’ কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক পেরিয়ে আরেক রাজ্যে আটকে পড়া ছেলেকে উদ্ধার করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের এক মা।

ভারতীয় সংবাদমাধ‌্যমগুলো জানিয়েছে, কারণ জানিয়ে স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে তেলেঙ্গানা রাজ‌্য থেকে গত সোমবার যাত্রা শুরু করেন মা রাজিয়া বেগম (৪৮)। উদ্দেশ‌্য পার্শ্ববর্তী রাজ‌্য অন্ধ্রপ্রদেশে আটকে পড়া ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসা। এজন‌্য তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে এক হাজার চারশ কিলোমিটার পথ। আর তা সফলভাবে শেষে করে গত বুধবার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন রাজিয়া।
এ বিষয়ে রাজিয়া বেগমের বক্তব‌্য, দুইচাকার যান স্কুটি চালিয়ে এতো রাস্তা পাড়ি দেওয়া একজন নারীর পক্ষে ছিল খুবই কঠিন কাজ। তবে ছেলেকে ঘরে আনার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা আমার সব ভয়কে দূরে ঠেলে দিয়েছিল। যাত্রা পথে আমি এমন সময় পার করেছি যখন দেখেছি রাতের আঁধারে কোথাও কেউ নেই। চারিদিকে শুধু সুনসান নীরবতা।

জানা যায়, রাজিয়া বেগম হায়দ্রাবাদ থেকে দুইশ’ কিলোমিটার দূরে নিজামাবাদ সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। ১৫ বছর আগে তিনি তার স্বামী হারান। তার দুই সন্তানের একজন প্রকৌশলী গ্রাজুয়েট, অন‌্যজন ১৯ বছর বয়সী নাজিমুদ্দিন। যার কিনা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন।

বন্ধুকে রেখে আসতে গত ১২ মার্চ নাজিমুদ্দিন তেলেঙ্গানার নিলোরের রাহামাতাবাদে যান। কিন্তু এর মধ‌্যে ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণায় তিনি সেখানে আটকা পড়েন। আর ছোট ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের ভয়ে বড় ছেলেকে পাঠাননি রাজিয়া বেগম। সেখানে কীভাবে পৌঁছানো যায় সে পরিকল্পনায় প্রথমে গাড়ির কথা মাথায় এলেও, পরে তা ঝেরে ফেলে দুই চাকার স্কুটিতেই ভরসা খুঁজে পান।

অবশেষে স্কুটি চালিয়েই ভিন রাজ্যে আটকে পড়া ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে সফল হন দৃঢ় প্রত‌্যয়ী এই নারী। সূত্র: কলকাতা২৪, নিউজ১৮ বাংলা, হিন্দুস্তান টাইমস

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Md. Shamsul Hoq ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৫২ এএম says : 0
Great.
Total Reply(0)
M G Kibria ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৫ পিএম says : 0
Salute to the mother. It is proved that Mother could do anything for her children
Total Reply(0)
M G Kibria ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৫ পিএম says : 0
Salute to the mother. It is proved that Mother could do anything for her children
Total Reply(0)
আতিকুররহমান ১০ এপ্রিল, ২০২০, ২:০১ পিএম says : 0
মা কোন কিছু দিয়ে তোমার উপমা হয়না খোদার এক অপুর্ব সৃষ্টি,
Total Reply(0)
আতিকুররহমান ১০ এপ্রিল, ২০২০, ২:০১ পিএম says : 0
মা কোন কিছু দিয়ে তোমার উপমা হয়না খোদার এক অপুর্ব সৃষ্টি,
Total Reply(0)
M M Naser Khan ১০ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৬ পিএম says : 0
একমাত্র মুসলমানদের পক্ষেই সম্ভব
Total Reply(0)
Ahmed Ullah ১১ এপ্রিল, ২০২০, ৮:২০ এএম says : 0
I'm a father with two kids. I have similar feelings. My actions were also unparallel at the time of need.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন