বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে অথচ পুলিশ পরিবারের সদস্য বিনা চিকিৎসায় মারা গেল’

যশোরে নারী ওসির অভিযোগ

বিশে সংবাদদাতা,যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ পিএম

‘পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে অথচ পুলিশ পরিবারের সদস্যের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হলো’-যশোর হাসপাতালে স্বামীর লাশ নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এই অভিযোগ তুললেন নারী ওসি রোকসানা খাতুন। তিনি বলেছেন, ডাক্তার নার্সদের অবহেলায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ছটফট করলেও অক্সিজেন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। নারী ওসি কেঁদে বলেছেন, ‘এই শুনছো, তোমার মেয়ে নিয়ে এখন আমি কী করবো? তোমার মেয়ে একা একা খায় না তুমি ছাড়া। এই ডাক্তাররা কোনো ট্রিটমেন্ট দিলো না। পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে অথচ পুলিশ পরিবার আজকে সেবা পেল না।’

নারী ওসি নড়াইলের নড়াগাতি থানার। স্বামী পাবনার সুজানগরের আহসানুল হক (৫০)। থাকতেন যশোর কোতয়ালি মডেল থানার স্টাফ কোয়াটরে। চাকরী করতেন বেনাপোলের রেলওয়েতে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে তার বুকে ব্যাথা হয়। একজন পুলিশ সদস্য তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৭টা৩০ মিনিটে নেয়। হাসপাতালে ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার দ্রæত তাকে করোনারীতে পাঠান ৭টা৩৫মিনিটে। ৮টা২০মিনিটে তিনি মারা যান।

ওসি রোকাসানা খাতুন বুকের ব্যাথা ও শ্বাস কষ্টের রোগীর অক্সিজেন না দেওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা কিছুই করেনি। তারা ওয়ার্ডে রেখে চলে গেছে। না কোনো ডাক্তার, না কোনো আয়া। আমার দুনিয়াডা অন্ধকার করে দিলো ডাক্তারদের অবহেলা।’ তার কথা,‘আমার ছোট বাচ্চা। সে (স্বামী) হাসপাতালে আসতে ভয় পায়। আমার স্বামী হাসপাতালে আসার আগে বলছিলো ‘সবাই আমাকে করোনা রোগী ভাববে।’ আমি বলেছি, ‘যা ভাবে ভাবুক। তুমি যাও।’ বললো ‘ডাক্তাররা আমারে কোথায় ফেলায় রাখবেনে।’ আমি কই, ‘না ডাক্তাররা ফেলায় রাখবে না।’ কয়, ‘তুমি ফোন করো, ফোন করো।’ আমি বলে দিছি, তারপরও কোনো ডাক্তার আসেনি। একটি ইমার্জেন্সি রোগীকে আইসিইউতে না নিয়ে কীভাবে ওয়ার্ডে ফেলে রাখে? ডাক্তার আইছে পরে। এসে দেখাচ্ছে যে, আমরা অক্সিজেন দিছি, এ দিছি, সে দিছি। কিচ্ছু না। কীভাবে একটা মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মারে?’’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, চিকিৎসার কোন অবহেলা হয়নি। হাসপাতালের সুপার ডাঃ দীলিপ কুমার রায় বলেছেন, তিনি কার্ডিয়াক অ্যাটাকে মারা যান। করোনারীর ডাঃ সোহান তাকে চিকিৎসা দেন। রোগীর ছটফটের কারণে ইসিজি পর্যন্ত করা যায়নি। নার্সরা অক্সিজেন দেয়নি কেন বিষয়ে তিনি বলেন অক্সিজেন গ্রহণের অবস্থা ছিল না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন