বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জাতীয় ঐকমত্য তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন ড. এমাজউদ্দীন

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীই জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতাকে মূলধন করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া উচিত।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গতকাল শনিবার বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সন্ত্রাস প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব। ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়ার সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু তারা পারেনি। পারেনি এই জন্য বলছি যে, বরাবর তারা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু জঙ্গিবাদ তো দেখা দিল। মন্তব্য বড় প্রতিবাদসহ ভিন্ন প্রক্রিয়ায় একটি প্রতিবাদ, তা জঙ্গিবাদ তো বটেই। তিনি বলেন, দেশের বতমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি মস্তবড় সুযোগ, একটি মুভমেন্ট। জাতীয় ঐক্যের মুভমেন্ট একটি আন্দোলন। এই আন্দোলনকে যদি সফল করতে পারি, তাহলে গত আট বছরের মধ্যে আমরা যা হারিয়েছি, তার প্রত্যেকটি অর্জন করতে পারব।
তিনি বলেন, দেশ থেকে অনেক কিছু হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা উপড়ে ফেলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নিঃশেষ করা হয়েছে, আইনের শাসন তো বাংলাদেশে কল্পনার ব্যাপার। কোনো এককালে হয়তো ছিল। এখন আর নেই। ব্যক্তি অধিকার নিশ্চিহ্ন হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ভয়ঙ্কর অবস্থা ও নিরপত্তাহীনতার মধ্যে চলছি।
২০ দলীয় জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানের আন্দোলনকে সফল করতে প্রত্যেকের বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা ভাবনা মিলিয়ে অগ্রসর হওয়া দরকার বলেও পরামর্শ দেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাকে ক্ষমতাসীনদের জামায়াত ছাড়ার শর্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াত নিয়ে কোনো কোনো মহল থেকে বাধা আসতে পারে। তবে দলটির অধিকাংশ নেতা-কর্মী ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্মগ্রহণ করেছে। তারা যদি জাতির কাছে তাদের পূর্বসূরিদের জন্য ক্ষমা চায় এবং মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে, তাহলে আপত্তির কিছু থাকে না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদও একটি প্রতিবাদ। কিন্তু প্রতিবাদের এই ধারাটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি ভুল পদ্ধতি। পুলিশের অত্যাচারের কারণে এই প্রতিবাদের জন্ম হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ড্যাবের সভাপতি ডা. এ কে এম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক-কর্মকর্ম-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন