বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিন। এরফলে সারাদেশেই কার্যত: লকডাউন। এই সঙ্কটকালে দেশের মানুষের জন্য তরঙ্গের বিনিময়ে ফ্রি টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার দাবি জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে করোনা সংক্রমিত হবার পর থেকেই কেউ কেউ গৃহে স্বেচ্ছায় অবস্থান শুরু করে। ২৬ মার্চ থেকে সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও গৃহে অবস্থান করতে নির্দেশনা প্রদান করে। বর্তমানে সারা দেশেই অঘোষিত লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় নাগরিকদের খাদ্য, পানীয়, জ্বালানী ও ঔষধের পাশাপাশি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সেবার অন্যতম নাম হচ্ছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জরুরি সেবার অন্তর্ভূক্ত এই খাত। কিন্তু এ সেবাটি জরুরি সেবার অন্তর্ভূক্ত করা হলেও সমন্বয়হীনতার কারণে সেবা প্রাপ্তিতে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরের ডিলাররা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। রিটেইলাররা প্রথম সপ্তাহে দোকান খুলতে পারে নাই প্রশাসনের নির্দেশনা না থাকায়। পরবর্তীতে এই খাতকে জরুরি সেবার আওতায় আনলেও স্বল্প পরিসরে কিছু দোকান খোলা থাকে। আবার অনেকের লোড শেষ হওয়ায় এরাও বন্ধ করে দিয়েছে। ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান দানকারী পুলিশ অযাচিতভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। রিটেইলারার মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সাথে জড়িত থাকলেও সেখানেও একই চিত্র বিরাজ করছে। মার্কেটের লোকজন করোনা ও পুলিশের হাতে নাজেহাল হওয়ার ভয়ে কাজে যোগ দিচ্ছে না। আবার লকডাউনের ফলে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এমতাবস্থায় গ্রাহকদের ঘরে রাখতে হলে তার জন্য দরকার নিরবিচ্ছিন্ন টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবা।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈশ্বিক এই মহামারীতে বেশ কিছু দেশ ইতোমধ্যে তাদের নাগরিকদের বিনামূল্যে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে। বাংলাদেশে অপারেটরদের ৫ মেগাহার্জ ৬ মাসের জন্য ফ্রি দিয়ে বিনিময়ে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা ফ্রি প্রদানের দাবি জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন