স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জ জেলার মাটি ও মানুষের নেতা প্রবীণ চিকিৎসক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামÐলীর সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. আবদুল মান্নান (৮৪) আর নেই। গতকাল শনিবার দুপুরে আনুমানিক ২টায় ধানমন্ডির নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
তিনি দুই ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বড় ছেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ মান্নান, ছোট ছেলে ডা. পার্থ আর মেয়ে ইংল্যান্ড প্রবাসী। এছাড়াও মৃত্যুকালে তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। প্রফেসর মান্নানের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ জেলার সর্বত্র শোকের কালো ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৩২ সালের ২ ডিসেম্বর প্রফেসর ডা. আবদুল মান্নান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার বৈরাগীর চর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৃত আলহাজ আম্বর আলী, মাতার নাম সখিনা বেগম।
সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর মান্নান একাধারে শিক্ষাবিদ-ভাষা সংগ্রামী, একজন দক্ষ সংগঠক ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি নিজ উদ্যোগে মেয়েদের কথা চিন্তা করে কটিয়াদী উপজেলায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কটিয়াদী মহিলা ডিগ্রি কলেজ’। পরিবেশবাদীদের সংগঠন বাংলাদেশ পর্যটন এন্ড এনভায়রনম্যান্ট সোসাইটি, নিউরোলজি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এছাড়াও অসংখ্য মানবসেবামূলক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
প্রফেসর ডা. আবদুল মান্নান ১৯৫০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার এল কে ইউ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈতনিক শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৬৭ সালে যুক্তরাজ্যের গøাসগো থেকে এমআরসিপি, পরবর্তীতে গøাসগো থেকে অনারারি এফআরসিপি এবং বাংলাদেশ থেকে এফসিপিএস ডিগ্রি লাভ করেন। প্রফেসর আবদুল মান্নান উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রশিক্ষণ নেন এবং পাশাপাশি চাকুরি করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) যোগদান করে দেশে সর্বপ্রথম স্নায়ুরোগ চিকিৎসার সূচনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন