শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে রেকর্ড সংখ্যক হোম কোয়ারেন্টিনে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ৪:১৮ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে এ পর্যন্ত মোট ২২ জনের দেহে কোভিড-১৯-এর সংক্রমন ধরা পড়েছে। এরমধ্যে পটুয়াখালী ও বরগুনায় মারা গেছে দুজন। এ অঞ্চলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগতদের হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত এযাবত কালের সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৬০ জন ৬টি জেলায় হোম কোয়ারিন্টিনে ছিল। যার মধ্যে পূর্ববর্তি ৪৮ ঘন্টায়ই যূক্ত হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক, এক হাজার। তবে এর বাইরে আরো ৩ হাজার ১২২ জন সুস্থবস্থায় হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করলেও পূর্ববর্তি ৪৮ ঘন্টায় মাত্র ১৪ জন ছাড়া পেয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠীর হাসপাতালগুলোতে ১১ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল শের এ বংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫ জন রোগী থাকলেও মঙ্গলবার দুপুরে দুজন ছাড়া পেয়েছেন। অপর ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের রক্তের নমুনা পরিক্ষায় করোনাভাইরাস-এর অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। এরা সবাই বহিরাগত। তবে মঙ্গলবার সন্ধা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ হাসপাতালটিতে আরো ৬জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এ হাসপাতালের আসোলেশন ওয়ার্ডে মোট ৫জন কেভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন থাকলেও তাদের সবার অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
এছাড়া ঝালকাঠীর গাবখান ইউনিয়নে নারায়নগঞ্জ থেকে আগত একই পরিবারের ৩ জন, পিরোজপুরের সদর, ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়ীয়াতেও একজন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বলা হয়েছে। গৌরনদীর টরকি এলাকার এক মহিলার রক্তের নমুনা পরিক্ষায় পজেটিভ ধরা পড়ার আগেই সে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে বরিশাল জেলাকে রবিবার সন্ধার পর থেকে লক ডাউন ঘোষণার পরে গত ৩ দিন পরিস্থিতি ছিল থমথমে। তবে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কেভিড-১৯ সনাক্ত মোট ৩ জন রোগীর অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। রোববার সন্ধ্যার পরে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জরুরী সভা করে লক ডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষনা করে প্রশাসন। মহানগরী সহ সব উপজেলায় আইনÑশৃংখলা বাহিনী শক্ত অবস্থানে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই জনসমাগম ও মোটর বাইক বন্ধ করা যাচ্ছে না।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে কিছুটা আতংকের সাথে সতর্কতাও বেড়েছে। রবিবার দুজন এবং সোমবার বাবুগঞ্জের অপর এক মহিলা করোনা সংক্রমন নিয়ে ভর্তি হবার পরে মঙ্গল ও বুধবার অঅরাে দুজন ভর্তি হয়েছেন। বরিশাল মহানগরী সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারন অনেক মানুষ রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন