বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আইএস-নুসরার ব্যাপক রকেট হামলা

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আলেপ্পোয় রুশ ও সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ২৮
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় আলেপ্পোর বেশ কয়েকটি আবাসিক স্থান ও সরকারি সৈন্যদের ওপর রকেট হামলা চালিয়েছে আইএস ও আল-নুসরা ফ্রন্টের জিহাদিরা। শনিবারের ওই হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। এদিকে, আলেপ্পোর বাইরে এক সেনা চৌকিতে বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেছেন, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি আর দীর্ঘায়িত করা যাবে না। জিহাদিরা আলেপ্পোর নিকটবর্তী হালাব, আল-জালিদ, আল-আসাদ, শেখ মাকসুদ, আল-খালিদিয়া, ওল্ড আসখাবা, আল-জাহারা ও বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালায়। সিরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সানা জানায়, শহরের প্রধান স্কয়ারের কাছে পাঁচটি রকেট আঘাত হানে। এতে তিনজন নিহত ও ৬ জন আহত হয়। এ ছাড়া, আল-শাহবা ও আল-আন্দালুজেও ১০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুই নারী নিহত ও গুরুতর আহত হয় আরও তিনজন। জিহাদিরা নাক্কারিন, আল রিদা ব্রিজ ও তেল জেবেগজায়ও রকেট হামলা চালায়।
উত্তর-পশ্চিম আলেপ্পোর দিক থেকে জিহাদিরা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তারা সেখানে সেনা ঘাঁটির কাছে চারটি আত্মঘাতী গাড়িবোমার মাধ্যমে হামলা চালায়। তবে এতে ক’জন হতাহত হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে এর আগে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ আলেপ্পো শহরে বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এমনটাই বলছে। শহরের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সিরিয়া বা রাশিয়ার বিমান এই হামলা চালিয়েছে বলে বলা হচ্ছে। আলেপ্পোতে অবস্থান করা এএফপির এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শহরের একাধিক এলাকায় ব্যারেলবোমা ফেলা হয়েছে। একটি হাসপাতালেও বোমা আঘাত হেনেছে। এতে হাসপাতালের কিছু কর্মী ও রোগী আহত হয়েছেন। এক চিকিৎসক এএফপিকে বলেছেন, বোমা হামলায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে হাসপাতালটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সিরিয়া সরকারের ভাষ্য, তাদের নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীরা শেল ছুড়েছে। এতে অন্তত একজন নিহত হয়েছে। একসময় সিরিয়ার বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্রস্থল ছিল এই আলেপ্পো শহর। ২০১২ সাল থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ দুটি পক্ষের হাতে চলে যায়। সরকার পক্ষ শহরের পশ্চিমাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। আর বিদ্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করছে পূর্বাঞ্চল। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করে ফেলে। আরটি, এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন