করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের সুযোগে দক্ষিণাঞ্চলে চাল, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করায় নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর দুর্দশা আরো বাড়ছে। চালের দাম বেড়েছে গত ১০ দিনে কেজিতে ৩-৪ টাকা পর্যন্ত। আদার কেজি ৩শ’ টাকার ওপরে। রসুন ১৬০ টাকা, পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপরে। গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা কেজি। যা গত বছর একই সময়ের তুলনা প্রতি কেজিতে প্রায় ৮ টাকা বেশি। প্যাকেট লবন ৩৫ টাকা কেজি। সয়াবিনসহ ভোজ্য তেলের দামও প্রতি লিটারে ৫ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি পরিবহন সঙ্কটে সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে আমদানিকৃত কোন পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজই গ্রামগঞ্জে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ৬০ টাকা। দেশি রসুন ১২০ টাকা হলেও চীনা রসুন ১৬০ টাকা। বাজারে দেশি কোন আদা নেই। চীনা আদা পাইকারি ৩শ’ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে গতকাল। রোজা সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলে ইতোমধ্যে ছোলা বুট বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা টিসিবির ভূমিকা জোড়াল নয়। গতকাল পর্যন্ত বরিশাল মহানগরীতে ১০টি সহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলা সদরগুলোতে প্রায় ২৫টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি চলেছে। চিনি, মসুর ডাল, ছোলা বুট আর ভোজ্য তেল বিক্রি করছে টিসিবি। তবে জেলা সদরের বাইরে টিসিবির কার্যক্রম অনুপস্থিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন