শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝালকাঠিতে মাতৃত্বকালীন ভাতায় নাম ওঠাতে ঘুষ দাবি

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ৩:১২ পিএম

ঝালকাঠিতে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম ওঠাতে ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ গ্রামের শাহনাজ বেগম নামে এক নারী এ অভিযোগ করেন। এ সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ইতোমধ্যেই সোসালমিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। ইউপি সদস্যের নাম আবুল হোসেন মল্লিক। তিনি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এদিকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে ওই নারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ গ্রামের কুয়েত প্রবাসী তাজুল ইসলামের স্ত্রী শাহনাজ বেগম গর্ভবতী থাকাকালীন জানতে পারেন, সরকার মামৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা তালিকা করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠায়। এই তালিকা অনুযায়ী তাদের ভাতা দেওয়া হয়। শাহনাজ বেগমের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৮) গর্ভবর্তী হলে তাঁর নামও ভাতার তালিকায় ওঠানোর জন্য ফোন দেন ইউপি সদসকে। তাকে বলা হয়, আমার নামতো এখনো উঠেনি, এবার মেয়ের নামটা একটু তালিকায় দেওয়া যাবে কিনা। উত্তরে ইউপি সদস্য বলেন, দিতে পারি, তবে পাঁচ হাজার টাকা লাগবে।
ফোনালাপে ইউপি সদস্য ওই নারীকে বলেন, চেয়ারম্যান হইতে ৩০ লাখ টাকা লাগে, আর মেম্বারের লাগে ৯ লাখ টাকা। সরকার টাকা দিবে, আর পাবলিক তা এমনি এমনি নিয়ে যাবে; তা কেমন করে হয়। আপনি আমার মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা নিবেন, আর পাঁচ হাজার টাকা খরচ করবেন না, তা-কি করে হয়। মেম্বারি করে লাভ কি, শুধু পাবলিক টাকা নিয়ে যায় আমরা কিছুই পাই না। তালিকায় (মাতৃত্বকালীন ভাতা) নাম ওঠাতে হলে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। ঝালকাঠিতে এক ইউপি সদস্য এভাবেই গর্ভবতী নারীর কাছে মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ চেয়ে ফোনে এসব কথা বলেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন মল্লিক বলেন, আমি কোন নারীর সঙ্গে ফোনে এ ধরণের কথা বলিনি। শাহনাজের স্বামীর সঙ্গে আমার একটি লেনদেন রয়েছে, এজন্য তারা আমাকে হেয় করতে চাইছে।

ঝালকাঠি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, আমাদের অফিস সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। ইউপি সদস্যের ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি আমি ফেসবুকে দেখেছি। ওই নারীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে, ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই নারী যদি ভাতা পাওয়ার উপযোগী হয়, তাহলে তাঁর নাম ভাতার তালিকায় ওঠানো হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Farjana ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৪২ পিএম says : 0
amra gorvoboti vatar name dey na bole aj na kal erokom guracche....
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন