শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

করোনা ধর্মীয় ও মানবিক চেতনাকে শাণিত করেছে

কামরুল হাসান দর্পণ | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

আল্লাহর রহমতে করোনাভাইরাস থেকে কোনো না কোনো সময় আমাদের নিশ্চয়ই মুক্তি মিলবে। এই দুর্যোগ, মহামারী, অতিমারি যাই হোক না কেন, একটা সময় তা থেকে আল্লাহ মুক্তি দেবেনই। অতীতেও প্লেগ, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ রোগের মহামারী থেকে তিনি মানবজাতিকে উদ্ধার করেছেন। করোনার মতো নতুন রোগ থেকেও তিনি আমাদের রক্ষা করবেন, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। সেইদিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয়, যখন দেখা যাবে, এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গেছে। এই প্রতিষেধক হয়তো ডায়রিয়ার প্রতিষেধক, অত্যন্ত সহজ প্রক্রিয়ার সেলাইনের মতো হতে পারে। করোনার প্রতিষেধকও আল্লাহই দেবেন। তার আগে তিনি আমাদেরকে, বিশেষ করে আমরা যারা বিশ্বাসী, তাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কী না করতে পারেন এবং আমরা কতো নাজুক ও অসহায় হয়ে পড়তে পারি। ডায়রিয়ার কাছেও একটা সময় আমরা অত্যন্ত অসহায় ছিলাম এবং যে গ্রাম বা এলাকায় এটা দেখা দিতো, তার আশপাশের গ্রামের মানুষ পর্যন্ত গ্রাম ছেড়ে পালাত। এর কারণ, তখন এর কোনো প্রতিষেধক ছিল না। মৃত্যু ছিল অনিবার্য। এখনও প্রায় বছরই ডায়রিয়া দেখা দেয়, তবে মানুষ ভয় পায় না, কারণ এর প্রতিষেধক রয়েছে। একইভাবে যক্ষ্মা, কুষ্ঠ রোগ হলেও মানুষ ভয় পায় না। এই যে বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তারপরও আমরা আতঙ্কমুক্ত হতে পারছি না শুধু এর প্রতিষেধক নেই বলে। আমাদের মধ্যে করোনা নিয়ে ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই’র মতো ভয় ঢুকে গেছে। ভয় এতটাই যে, অতি আপনজনকেও পর করে দিতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করছি না। ঘনিষ্ট কারো করোনা ধরা পড়লেই সে অপরিচিত ও অচ্ছুৎ হয়ে পড়ছে। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি’ করে দূরে সরে যাচ্ছে, যেমনটা রোজ কেয়ামতে দেখা যাবে। বিপদে পড়লে মানুষ চেনা যায় বলে যে কথা আছে, তা এই করোনাকালে খাটছে না। কারণ, যিনি করোনায় আক্রান্ত তিনি বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন এবং কাউকে দোষ না দিয়ে তা মেনে নিচ্ছেন।
তবে করোনা পরিস্থিতির অবসান হলে অনেক কিছুই যে বদলে যাবে, তা নিশ্চত করে বলা যায়। মানুষ এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে। হলিউডে ‘আইল্যান্ড’ নামে একটি সিনেমা নির্মিত হয়েছিল। সিনেমাটিতে দেখানো হয়, মানুষ ক্লোনের মাধ্যমে নিজের প্রতিরূপ সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে নিজেকে সীমাহীনভাবে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। ধনী লোকদের ক্লোন তৈরি করে দেয় একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক মানুষের ক্লোন তৈরি করে রাখা হয়েছে। এসব কৃত্রিম মানুষ শিশুর মতো। তারা বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয় এর বাইরে তারা কিছু করতে পারে না। ঘটনাক্রমে তাদের এই আবাসস্থল ভেঙে যায় এবং তারা বের হয়ে এক নতুন জগতের মুখোমুখি হয়। সবকিছুই তাদের কাছে নতুন। অচেনা এক জগৎ। এ জগৎ দেখতে তারা বের হয়ে পড়ে। করোনা পরবর্তী সময়ে যদি মানুষ এমনই এক নতুন জগতের মুখোমুখি হয়, তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এখন আমরা করোনা শুরুর আগের মনমানসিকতা নিয়ে ঘরবন্দি হয়ে আছি। এ থেকে মুক্ত হয়ে যখন বের হবো, তখন নিশ্চিতভাবেই অনেক পরিবর্তনের মুখোমুখি হবো। ব্যক্তিগত আচার-আচরণ থেকে শুরু করে শরীর-স্বাস্থ্যের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। ঘরে থকতে থাকতে কেউ ফর্সা ও মোটা হয়ে যাবে, কারো ওজন বেড়ে যাবে, কেউ দূষণমুক্ত পরিবেশে থেকে আগের চেয়ে বেশি সুস্থবোধ করবে। কেউ ধার্মিক হয়ে যাবেন। যারা ধর্ম-কর্মে খুব বেশি মনোযোগী ছিল না তারা আগের চেয়ে বেশি মনোযোগী হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মের প্রতি মানুষের আকুতি দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে। কারণ আমার পরিচিত এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা অতি প্রগতিবাদী, ধর্ম-কর্মের ধারকাছ দিয়ে হাঁটে না, তারাও ক্ষমা চেয়ে আল্লাহ আল্লাহ করে পোস্ট দিচ্ছে। তবে তার আগে কিছু হুজুরের সমালোচনা করে নিচ্ছে। তাদের একহাত নিয়ে ধুয়ে দিচ্ছেন। তারপর আল্লাহর নাম নিয়ে ভালো কথাবর্তা লিখছে। আল্লার কাছে করোনা থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করছে। বিশ্বাসীদের জন্য এটা একটা ইতিবাচক দিক। করোনার এ ধাক্কা না এলে হয়তো অতি প্রগতিবাদী হয়ে ধর্মবিমুখ হয়ে থাকা মানুষগুলোর সুপ্ত ধর্মীয় চেতনা ফিরত কিনা সন্দেহ। প্রকৃতিগতভাবে আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু। প্রতিটি পরিবারের মূল ভিত্তি গড়ে উঠেছে ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধের ওপর। এই যে যারা অতি প্রগতিবাদের নামে ধর্মকে দূরে ঠেলে রাখতে চায়, বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই, তাদের বাসায় খোঁজ নিলেই দেখা যাবে, তার মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান নামাজ-রোজা করছে। তাদের সামনে ধর্ম বাদ দিয়ে তথাকথিত প্রগতিবাদের কথা বলতে গেলেই ঝামটা খেতে হবে। অর্থাৎ প্রগতিবাদীদের কথাবার্তা তাদের পরিবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কাজেই তারা যে ধর্মের বিপরীত অতি প্রগতিবাদের কথা বলে, তার পেছনে ব্যক্তি বা গোষ্ঠিগত স্বার্থ রয়েছে। বলা যায়, মানুষকে ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করার এটি এক ধরনের কৌশল। এ কৌশল আমাদের রাজনীতিতে থাকলেও তা মানুষের কাছে বিকাচ্ছে না। তারপরও তারা তাদের দোকান খোলা রেখেছে। কাস্টমার না থাকায় একা একাই ধর্মপ্রাণ মানুষদের গাল-মন্দ ও সমালোচনা করে। আর কিছু মানুষ ধর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে নিজেকে আধুনিক মনস্ক প্রমাণ করার জন্য ধর্ম পরিপন্থী কথাবার্তা কিংবা সমালোচনায় মেতে ওঠে। যদি ধর্ম সম্পর্কে তাদের গভীর পড়াশোনা থাকত, তবে তাদের ধ্যানধারণাই বদলে যেত। মূল কথা হচ্ছে, ধর্ম সম্পর্কে এসব স্বল্প পড়াশোনাকারিরা নিজেদের অপকর্ম জায়েজ করা এবং অপকর্ম করে সান্ত্বনা পাওয়ার জন্যই ধর্ম এবং ধর্মবিশ্বাসীদের নিয়ে বিরূপ সমালোচনা ও মন্তব্য করে।
যাই হোক, রাজনীতিতে অতি প্রগতিবাদীদের চেয়েও অনেক বড় ধর্মবিরোধী ব্যবসায়ী রয়েছে। যারা কথায় কথায় ধর্ম পালনকারীদের জঙ্গি হিসেবে আখ্যায়িত করে। তাদের কাউকে কাউকে শেষ পর্যন্ত ধর্মের পথে ফিরে আসতে দেখা গেছে। কয়েক বছর আগে তারা দুজন হজ পালন করে এসেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে এই, পৃথিবীতে বিশ্বাসীদের সংখ্যাই বেশি। আমরা এখন তথাকথিত ধর্মবিরোধী ব্যবসায়ীদের দেখছি, এই করোনাকালে তাদের চেতনা কীভাবে ধসে পড়ছে। করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কীভাবে আল্লাহ আল্লাহ করছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক এ কারণে যে, তারা বুঝতে পারছে বিপদে মহান আল্লাহ ছাড়া রক্ষা করার আর কেউ নেই। যে স্পেন, জার্মানিতে প্রকাশ্যে কখনো আজান দিতে দেয়া হয়নি, যে বিবিসিতে কখনো আজান ও নামাজ প্রচার করা হয়নি, সেসব দেশ ও মিডিয়ায় আজান দেয়া হয়েছে, নামাজ প্রচার করা হয়েছে। এই যে ইটালিতে মিনিটে মিনিটে মানুষ মারা যাচ্ছে, এর মধ্যেও অলৌকিকেভাবে কেউ কেউ বেঁচে সৃষ্টি কর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ যার বাঁচার কোনো আশা ছিল না, বেশ কিছুদিন ভেন্টিলেটরে ছিলেন, তিনি বেঁচে যান। চিকিৎসকরা তার হাসপাতালের বিল করে পাঁচ লাখ ডলার। এতে তিনি চিন্তিত হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চিন্তিত দেখে বলল, আপনাকে বিল দিতে হবে না। আপনার বিল মওকুফ করা হলো। বৃদ্ধ লোকটি বলল, আমি হাসপাতালের পুরো বিলই পরিশোধ করব। এ বিল পরিশোধ করতে আমার কোনো সমস্যা হবে না। চিন্তা করছি, ভেন্টিলেটরে কয়েক দিনের অক্সিজেনের দামই যদি এত হয়, তবে আমাকে যে সৃষ্টকর্তা অক্সিজেন দিয়ে ৯৩ বছর বাঁচিয়ে রেখেছেন, এর দাম পরিশোধ করব কীভাবে? এসব ঘটনায় তথাকথিতত অতি প্রগতিবাদী তো বটেই, অবিশ্বাসীদের জন্যও শেখার অনেক কিছু আছে। করোনা পরবর্তী সময়ে যদি দেখা যায়, মানুষের মধ্যে ধর্মীয় চেতনাবোধ তীব্র হয়েছে, অতি প্রগতিবাদীদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে, তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে এটাও দেখেছি, কিছু মানুষের স্বভাবে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তারা তাদের চিরায়ত ধর্মের অজ্ঞতা নিয়ে অতি প্রগতিবাদী চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। মসজিদ কেন সরকার বন্ধ করছে না, এ নিয়ে নানা বিদ্রæপাত্মক মন্তব্য করেছে। সুযোগ পেয়ে ধর্ম নিয়ে দু-চারটা কথা বলেছে। তাদের সংখ্যাটা দূরবীক্ষণিক। তবে একটি শ্রেণীর চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি।
বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাকর্মীর। সরকার রিলিফ দিয়েছে করোনায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়া অসহায় মানুষের জন্য। এ মানুষগুলোর করোনায় আক্রান্ত এবং না খেয়ে -উভয়ভাবেই মরার শঙ্কা রয়েছে। উভয় সঙ্কটে পড়া এ মানুষগুলোর হক এবং রিজিক মেরে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রণীর নেতাকর্মী। শত শত বস্তা চাল লোপাট করে দিয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও এ দলের লোকজন একই কাজ করেছিল। এদের কারণেই আওয়ামী লীগকে ‘রিলিফ চোরে’র উপাধি পেতে হয়েছিল। এ শ্রেণীর লোকজনের চরিত্র যে কখনো বদলাবে না, তা নিশ্চিত। তারা আগুনে ঝাপ দিয়েও চুরি করতে দ্বিধা করবে না।
করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষের পেশাগত অনেক পরিবর্তন হতে পারে। অসংখ্য মানুষ চাকরিচ্যুত হতে পারে। যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে, ছুটি শেষে যখন অফিসে যাবে, তাদের অনেককে হয়তো চাকরি হারাতে হতে পারে। প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সংকোচন বা ব্যয় কমানোর খড়গের নিচে পড়তে পারে। তবে বহু সংখ্যক মানুষকে যে বেকারত্বের মুখোমুখি হতে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। গার্মেন্ট খাতে বহু শ্রমিক বেকার হতে পারে। অর্ডার ক্যান্সেল হয়েছে, নতুন অর্ডার নেই, অর্ডার আসতে সময় লাগবে, এ সময়ে ফ্যাক্টরি খরচ চালাব কীভাবে ইত্যকার নানা কথা বলে অনেক মালিক হাহাকার শুরু করেছে। এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না, তাদের খরচ কমাতে শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে। আবার অনেকের পেশাও বদলে যেত পারে। তবে বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদরা দেশের অর্থনীতি নিয়ে যেসব পূর্বাভাস দিচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের ভয় ধরারই কথা। দেশের জিডিপি হবে দুই থেকে তিন শতাংশ। অর্থনীতি অত্যন্ত দুর্দশার মধ্যে পড়বে। এতে ধনী শ্রেণীর তেমন কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যা হবে সাধারণ এবং অতি নগণ্য শ্রেণীর। এ সমস্যা হবে দীর্ঘ মেয়াদে। এ সময়েই বোঝা যাবে, সরকার তো বটেই, মানুষ কতটা মানুষের জন্য। তবে করোনার এ সময়ে আমরা সামর্থ্যবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখছি। মমতা নিয়েই তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু অসহায় মানুষই নয়, শত কষ্টে থেকেও যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী মুখ ফুটে কখনো কিছু বলতে বা চাইতে পারে না, তাদের পাশেও অনেকে দাঁড়িয়েছে। এসবে কোনো লোক দেখানো বিষয় ছিল না। ছিল মানবিকতা ও ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকতার সাথে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। করোনা পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে হয়তো অসাধারণ এসব দৃশ্য দেখা যেত না। তবে আমরা নিজেদের মধ্যে আত্মশুদ্ধি এবং মানবিক যে চেতনা অনুভব করছি এবং তা যদি করোনা পরবর্তী সময়েও ধরে রাখতে পারি, তাতে যতই অর্থনৈতিক মন্দা আসুক না কেন, তা সহজে মোকাবেলা করতে পারব। কারণ আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আমরা মায়াময়, একের কষ্টে অন্যে কষ্ট পাই, চোখের পানি ফেলে পরস্পরের বিপদে পাশে দাঁড়াই। এই যে এখন কত মানুষ কষ্টে আছে, এ কথা ভেবে অনেকেই কষ্ট পাচ্ছে। আমরা এমনই জাতি। তাছাড়া অতিথিপরায়ণ জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের পরিচিতি আছে। সামনে পবিত্র রমজান। এ মাসে আমাদের মধ্যকার ধর্মীয় চেতনা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। মানুষ মানুষের পাশে বেশি দাঁড়ায়। করোনায় নবরূপে জাগ্রত হওয়া আমাদের আত্মোপলব্ধি যদি ধরে রাখতে পারি, তবে আমাদের পক্ষে এক সুখ-শান্তির দেশ পাওয়া অসম্ভব নয়। আর যদি এমন হয়, বিপদে পড়ে আল্লাহ আল্লাহ করেছি, এখন বিপদ কেটে গেছে, তাই আর নিজের পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, তবে মনে রাখতে হবে, করোনার চেয়েও অজানা আরও ভয়ংকর কোনো বিপদ হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mahdihasan274@gmail.com ২১ এপ্রিল, ২০২০, ২:৫২ পিএম says : 0
বিপদে পড়ে আল্লাহ আল্লাহ করেছি, এখন বিপদ কেটে গেছে, তাই আর নিজের পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, তবে মনে রাখতে হবে, করোনার চেয়েও অজানা আরও ভয়ংকর কোনো বিপদ হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন