বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আইটি এন্ড টেলিকম

মেমরি কার্ড কেনার আগে..

প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শওকত আলম পলাশ

ছবি, গান, ভিডিওসহ বিনোদন ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য মেমরি কার্ডের বিকল্প নেই। বাজারে নকল মেমরি কার্ডের ভিড়ে প্রয়োজনীয়তা বুঝে আসল মেমরি কার্ডটি কেনা প্রয়োজন। মেমরি কার্ডের এসব গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়েই এই লেখা।

মেমরি কার্ড
মেমরি কার্ড হচ্ছে এক ধরনের সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক সেকেন্ডারি মেমরি। এটি এমন এক ধরনের মেমরি যা বর্তমানে মোবাইল ডিভাইসগুলো যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, টেলিভিশন, মিডিয়া প্লেয়ার ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।

মেমরি সমস্যার সমাধান
সিস্টেম এবং বিভিন্ন ডিভাইসের স্পেস নিয়ে ইদানীং অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। বিভিন্ন ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, আইপড বা এমপিথ্রি প্লে­য়ার, ভিডিও প্লে­য়ার ইত্যাদিতে সেকেন্ডারি সেমিকন্ডাক্টর মেমরি ব্যবহার করা হয়। কোন ডিভাইস কি ধরনের মেমরি সাপোর্ট করে এবং কোন মেমরি সবচেয়ে ভালো চলে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় আসলে সমস্যায় পড়েন অনেকে। এজন্য প্রথমেই জেনে নিতে হবে, সংশ্লিষ্ট ডিভাইস কোন ধরনের মেমরি সাপোর্ট করে। ডিভাইসটি কি কোনো মেমরি কার্ড সাপোর্ট করে নাকি রম সাপোর্ট করে তা আগেই জেনে নিতে হবে। ডিভাইসের মেমরি কোনটা তা নিশ্চিত করার পর মেমরি কার্ডের প্রকারভেদ কোনটি তা জানতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের ম্যানুয়াল কাজে লাগতে পারে। অবশ্য ইন্টারনেট থেকেও মেমরি কার্ডের ধরন খুঁজে বের করা সম্ভব।

এসডি কার্ড
যে কার্ডের ব্যবহার এখন সবচেয়ে বেশি হয় তা হচ্ছে এসডি কার্ড। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে নানা রকমের প্লেয়ার এবং ডিজিটাল ক্যামেরা সব কিছুতেই এখন এসডি কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি সিএফ কার্ডকে সরিয়ে এখনকার ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরাতেও এসডি কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। এসডি কার্ড এত জনপ্রিয় হবার মূল কারণ হচ্ছে এর ফর্ম ফ্যাক্টর কম। সেই সাথে এর সহজলভ্যতাও বিবেচ্য। এসডি কার্ড তিনটি ফর্ম ফ্যাক্টরের হয়। এগুলো হচ্ছে- এসডি কার্ড, মিনি এসডি কার্ড এবং মাইক্রো এসডি কার্ড। মাইক্রো এসডি কার্ড এই কার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তবে মাইক্রো এসডি কার্ডের সাথে অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে যেকেউ এসডি কার্ডের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। অর্থাৎ কারো ডিভাইসে যদি এসডি কার্ডের সাপোর্ট থাকে এবং তার কাছে যদি একটি মাইক্রো এসডি কার্ড থাকে তাহলে নতুন করে এসডি কার্ড না কিনেই শুধু একটি অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে ডিভাইস চালানো সম্ভব। মিনি এসডি কার্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

এমএমসি কার্ড
সাধারণত আগে মোবাইল ফোনে এ কার্ড বেশি ব্যবহার করা হতো। বিশেষ করে নকিয়া মোবাইল ফোনে এ কার্ড জনপ্রিয়তা পায়। একসময় এসডি কার্ডের চেয়ে এ কার্ডের দাম কম থাকায় এসডি কার্ডের পরিবর্তে এ কার্ড ব্যবহার করা হতো। তবে এখন এ কার্ডের ব্যবহার সীমিত হয়ে এসেছে। এসডি কার্ডের স্লটে পরিবর্তন হিসেবে এ কার্ড ব্যবহার করা যেত। তবে সেক্ষেত্রে এমএমসি কার্ডের সেকেন্ড জেনারেশনের কার্ড ব্যবহার করতে হবে।

এসডিএইচএস এবং এসডিএক্সসি
মাইক্রো এসডি কার্ডের উপরে অনেকসময় এসডিএইচএস কিংবা এসডিএক্সসি লেখা থাকে। এটি আলাদা ফরম্যাট প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে ঠিক কি পরিমাণের ডাটা স্টোর করতে সক্ষম তা বুঝিয়ে থাকে। এসডিএইচসি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সিকিউর ডিজিটাল হাই ক্যাপাসিটি যা ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত ডাটা স্টোর করতে সক্ষম এবং এসডিএক্সসি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সিকিউর ডিজিটাল এক্সটেনডেড ক্যাপাসিটি যা ৬৪ গিগাবাইট এবং এর উপরে ডাটা ধারণ করতে সক্ষম।

কোন মেমরি উপযুক্ত
ব্যবহারকারী যদি ডাটা স্টোর যেমন মুভি, গান ও ছবি সংরক্ষণের জন্য একটি মেমরি কার্ড ব্যবহার করতে চান তাহলে ক্লাস ৪ থেকে এর উপরের যেকোনো কার্ড কিনতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা হবে না। এখন কেউ যদি এইচডি রেকর্ডিং করতে চান এবং সেই রেকর্ডিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে চান তাহলে কমপক্ষে ক্লাস ৬ এর মেমরি কেনা উচিত। অন্যথায় রেকর্ডিং করার সময় অনেক ফ্রেম সংরক্ষণ হতে নাও পারে। আবার ভিডিওটি চালানোর সময় আটকে যেতে পারে বা ভিডিও এবং সাউন্ড আগে পিছে হয়ে যেতে পারে। তাই এইচডি মানের ভিডিও রেকর্ডিং ও দেখার জন্য সর্বনিম্ন ক্লাস ৬ কার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। এরপর কেউ যদি ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং করতে চান এবং সাথে সাথে যদি ফটোও ক্যাপচার করতে চান সেক্ষেত্রে কমপক্ষে একটি ইউএইচএস ১ মেমরি কেনা উচিৎ। স্মার্টফোনের পাশাপাশি ক্যামেরাতে এসডি কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন