শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেট ত্রান বঞ্চনায় ছটফট করছেন মোহাজির জনগোষ্ট্রি

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ৯:১৫ পিএম

ভারত থেকে তৎকালীন পাকিস্তানে প্রবেশকারী সর্বত্যাগী জনগোষ্টি-ই মোহাজির নামে পরিচিত বর্তমান বাংলাদেশে। সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের মেজরটিলা ইসলামপুর দেবপুর কলোনীতে বছরের পর বছর ধরে তাদের বসবাস। প্রায় ৫ ‘শ পরিবার বাস করছেন তারা। মহামারি করোনাভাইরাসে কালো থাবায় তাদের স্বাভাবিক জীবন এখন থমকে গেছে। গৃহবন্দি তারা। আতœমর্যাদা সম্পন্ন মোহাজির জনগোষ্ট্রি নিজের উপার্জনের উপর চালিয়ে থাকে পরিবার-পরিজন। কিন্তু এবার করোনা বিড়ম্বনায় ত্রাহি ত্রাহি করছে তারা। অবর্ণনীয় কষ্ট ঘিরে ধরেছে তাদের। এ কলোনীতে রয়েছে ১৩শ ভোটার। জনসংখ্যা ৮হাজার। বেশিরভাগই ডে-লেবার। দিনে কাজ জুঠলে রাতে খাবার জুটে তাদের। কিন্তু সেই দিন-রাত দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে করোনার প্রকোপে। রিকসা, অটোরিকসা, সিএনজি চালক সহ দিনমজুরের সংখ্যাই এ কলোনীতে বেশি। কিন্তু নির্বাচন আসলে আদর কদর বাড়ে তাদের। কিন্তু দূর্যোগে নেই কারো চোখ। ত্রানের জন্য ধর্ণা দিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে কিন্তু অতীতে কপালে জুঠলেও এবার তারা শূন্য। প্রায় ঘরেই খাবার নেই, ঋণ করে কত আনবেন, কে দিবে সেই চিন্তায় মাথায় হাত তাদের। এ বঞ্চনায় ছটফট করছেন তাদেও জীবন। মোহাজিরদের স্বার্থ সংরক্ষণে সরকারী ভাবে দায়িত্বপালন করে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়। কিন্তু সেই মন্ত্রনালয়ের কোন সাড়া নেই তাদের বেহাল অবস্থা উত্তরণে। এহেন অবস্থায় চোখে মুখে চরম হতাশা তাদের মধ্যে।

স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডভোকেট আফসর আহমদ বলেন, সরকারী বরাদ্দ থেকে কখনো বঞ্চিত করা হয়নি তাদের। পর্যায়ক্রমে তাদের সহায়তা দেয়া হবে।

এদিকে মোহাজির প্রতিনিধি মো: ইয়ানূর আলী বলেন, ত্রান সহায়তা পেয়েছেন মোহাজির জনগোষ্ট্রির কোন সদস্য এমন এমন তথ্য ঠিক নয়। তারা পাচ্ছেন না বলেই, কষ্টের ভয়াবহতায় কথা বলার শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলছেন। ত্রানের আশায় জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার সাথে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও বিফল হয়েছেন তারা। জেলা কর্মকর্তা পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসনক মহোদয়ের সাথে ত্রানের ব্যাপারে কথা বলতে। কিন্তু আমাদের জন্য সে পর্যন্ত পৌছা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। এখন লোকজন উপোষ করছে। অনেকের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পেঠের জ¦ালা না মেঠাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে করেনা ঝুঁকির মধ্যে। অসর্কতায় করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে, হয়তো বিপন্ন হয়ে যাবে গোটা মোহাজির কলোনী। চলমান অবস্থায় কেবল আফসোস ছাড়া এখন আর বাকী কিছুই নেই মোহাজিরদের ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন