ইনকিলাব ডেস্ক : হত্যার শিকার পাকিস্তানের আলোচিত মডেল ও ফেসবুক তারকা কানদিল বালুচের ভাই রোববার তার বোনকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। গত শুক্রবার পাঞ্জাবের মুলতানে কানদিলকে হত্যার পর পালিয়ে গিয়েছিলেন ভাই মুহাম্মদ ওয়াসিম। পরে গত শনিবার পার্শ্ববর্তী মোজ্জাফরনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অনলাইনে আপত্তিকর ভিডিও, ছবি ও বক্তব্য পোস্ট করায় বোনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ওয়াসিম। মুলতানের পুলিশ প্রধান আজহার ইকরাম এএফপিকে বলেন, ওয়াসিম তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশকে তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক আপত্তিকর ভিডিওগুলোর কারণে পরিবারের সম্মান রক্ষায় তিনি বোনকে খুন করেন। গত রোববার পুলিশের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসিমকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি তাকে হত্যা করেছি। রাত তখন পৌনে ১১টা। সে নিচতলায় ছিল। আর মা-বাবা ওপরের তলায় ঘুমিয়েছিলেন। আমি তাকে প্রথম একটি ট্যাবলেট খেতে দিই এরপর হত্যা করি। তিনি একাই হত্যা করেছেন বলে জানান। বলেন, আমি যা করেছি, এর জন্য আমি অনুতপ্ত নই। ও যা করছিল, তা পুরোপুরি অসহনীয়। মুলতানের পুলিশ আগেই এটি সম্ভাব্য কথিত পারিবারিক সম্মান রক্ষার হত্যা বলে ধারণা করছিল। পাকিস্তানে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক মানুষ (যাদের প্রায় সবাই নারী) পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে হত্যার শিকার হন। উঠতি ফেসবুক তারকা কানদিলের ঘটনায় পাকিস্তানে এ ধরনের হত্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আবারও সামনে এসেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ‘আমাকে কেমন লাগছে’ শিরোনামে কানদিল বালুচের একটি ভিডিও ব্যাপক প্রচার পেলে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। উদার মনোভাব ও সোজাসাপ্টা কথা বলার কারণে তরুণসহ অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন কানদিল। পাশাপাশি খোলামেলা, উত্তেজক ছবি পোস্ট করায় রক্ষণশীল পাকিস্তানি সমাজে তার সমালোচকও কম ছিল না। এএফপি ও আলজাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন