বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আরিচা পাচুরিয়া ঘাটে সহস্রাধিক ছিন্নমূল হকারের পরিবারে দুর্দিন চলছে

আরিচা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৩৩ পিএম

আরিচা নদী বন্দর তথা আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে সহ¯্রাধিক ছিন্নমূল হকারের পরিবারে চরম দুর্দিন চলছে। দিনে আনা দিনে খাওয়া এ পরিবারগুলো করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে কোন আয় না থাকায় দৈন্দিন পরিবারিক চাহিদা পূরনে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় এক মাস যাবৎ আরিচা-পাটুরিয়া ঘাটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসা স্বাভাবিকভাবেই কোন নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই বন্ধ হয়ে গেছে। এ সব হিন্নমূল হকারদের প্রতিদিনের গড় আয় ছিল গড়ে ২ থেকে ৩ শত টাকা। যা দিয়ে প্রতিদিনের সংসারের খরচ মিটানো হতো। এখন আয় না থাকায় ধার-দেনা করে ১০/১২ দিন সংসার পরিচালনা করতে পারলেও এখন পড়েছেন মহা বিপাকে। লকডাউন পরিস্থিতিতে বিকল্প কোন কাজ করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে অধিকাংশ হকার জানিয়েছে।

কৃষি প্রধান শিবালয় উপজেলা এ অঞ্চলে ধান কাটা শুরু হতে এখনো এক মাসেরও বেশী সময় বাকী। ফলে দিনমুজুরের কাজ করাও সম্ভব হচ্ছে না। বাড়ি-ঘরে বন্ধি অবস্থায় অর্ধাহারে অনেকের দিন কাটছে।
পাটুরিয়া ঘাট হকার্স সমিতির তালিকাভুক্ত হকার রয়েছে ৯৯৬ জন। এদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জন মহাজন। বাকীরা সবাই ছিন্নমূল। ডাব, ফল, আখের রস, ঝালমুড়ি, জুসসহ পানীর বোতল, পান, সিগারেট, ডিম, চা, নাস্তা ইত্যাদি বিক্রি করে এসব হকার জীবীকা নির্বাহ করে। এ সংখ্যার বাইরেও আরো কয়েকশ অনিয়মিত হকার রয়েছে। আরিচা ঘাট, হাট-বাজারেও রয়েছে কয়েকশ হকার। তারাও অনুরুপে নানা পন্য বিক্রি করে থাকে। পাটুরিয়া ঘাট হর্কাস সমিতির সাঃ সম্পাদক কাজী মিলন জানান, সমপ্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দূর্জয় পাটুরিয়া ঘাটে এসে ১৪০ জন হকারকে খাদ্য সহয়তা দিয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তালিকাভুক্ত এসব হকারদের বাসস্থান শিবালয়, উথলী, উলাইল ও আরুয়া ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত। ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক যাচাই পূর্বক খাদ্য সহয়তার দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্থানিয় প্রশাসন ও সংসদ সদস্য ও বিত্তশালীদে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন