বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাধারণ ছুটি দশ দিন বাড়লো

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ৫:১২ পিএম | আপডেট : ৫:৩৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২০

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বৃদ্ধির মধ্যেই সাধারণ ছুটি আরো ১০ দিন বৃদ্ধি করেছে সরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে আরও ১০ দিন ছুটি বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ হিসাবে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত সরকারি- বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। 

বুধবার জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপরন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৬ এপ্রিল হতে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে। ছুটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখা। করোনা প্রতিরোধে এখন একমাত্র উপায় হচ্ছে আইসোলেশন এবং সোস্যাল ডিসটেন্স মেইনটেন করা। পাশাপাশি যাদের বের না হলেই নয়, যেমন ধান কাটার শ্রমিক। হাওর অঞ্চলে যেসব জায়গায় বোরোর উৎপাদন বেশি হয় তাদের সেসব জায়গায় যেতে হবে। সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

গত ১০ এপ্রিল চতুর্থদফায় সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি চলছে। পাশাপাশি জনগণের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ নির্দেশনাও জারি করেছে সরকার। এতে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত পথে বের হওয়া যাবে না। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ে কাউকে বাইরে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

প্রথমে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লম্বা করা হয়। এবং সর্বশেষ ১২ ও ১৩ তারিখকে সাধারণ ছুটির আওতায় এনে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৪ এপ্রিল ছিল বাংলা নববর্ষের ছুটি। পরে সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত লম্বা হয় সরকারি ছুটি। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ছুটির মধ্যেও জরুরি পরিষেবা অর্থাৎ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি খাতের কার্যক্রম চলবে। এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, সংবাদপত্র, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতায় পড়বে না।

জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো চালু রাখতে পারবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর যে নির্দেশনা দিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন