শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লকডাউন : নোয়াখালীতে অভাবী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে

একমাস গৃহে অবরুদ্ধ

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৩৭ এএম

প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত একমাস গৃহে অবস্থান করছে নোয়াখালীর কয়েক লাখ পরিবার। এতে করে লাখ লাখ কর্মজীবি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

প্রবাসী অধ্যূষিত হলে এজেলার কয়েক লাখ কর্মজীবি মানুষ এখন বেকার হয়ে পড়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আবার কোথাও কাজের সূযোগ পর্য্যন্ত নেই। এতে করে অনাহার ও অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে এসব পবিারগুলো।

সরকারী উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যে পরিমাণ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তূলনায় অতি নগন্য। এছাড়া টিসিবি’র মাধ্যমেও ১০টাকা কেজিতে চাল প্রদান হলেও সীমিত সংখ্যক মানুষ এ সুবিধা পাচ্ছে। জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় মাত্র ২০শতাংশ মানুষ বিভিন্নভাবে খাদ্য সহায়তা পেলেও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ও চরাঞ্চলের লাখ লাখ অধিবাসী এখনও সরকারী সহায়তা পায়নি।

গত মার্চের তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। সেগুলো অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু করোনাভাইরাস দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় জনপ্রতিনিধিরা এখন সরকারী বরাদ্দ বৃদ্ধির চেষ্টা তদবির করছে।

নোয়াখালীর অভাবী এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে হাতিয়া উপজেলা, সদর, সূবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চল। এসব এলাকার অধিবাসীদের ৭০শতাংশই কৃষি, মৎসসহ দিনমজুরীর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু লকডাউনের কারনে কয়েক লাখ মানুষ বেকরা জীবন যাপন করছে।

অপরদিকে নি¤œবিত্ত পরিবারের অবস্থা ক্রমান্বয়ে আরও শোচনীয় হয়ে আসছে। লোক লজ্জায় কারও কাছে সাহায্যও চাইতে পারে না এসব পরিবার। ফলে এসব পরিবারে নীরব অভাব দেখা দিয়েছে। আগামী শনিবার থেকে রমজান শুরু হচ্ছে। এসব অভাবী মানুষ এখন থেকেই চোখে অন্ধকার দেখছে। অনতিবিলম্বে নোয়াখালীতে তিনলাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া না হলে রমজান মাসেই এ জেলায় দূভিক্ষ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিমত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন