অভাবের তাড়নায় এক গৃহবধূ মাথার চুল বিক্রি করে বাচ্চাদের দুধ কেনার খবরটি সঠিক নয়। চুল বিক্রি করার ঘটনাটি দেড় মাস আগের। স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে প্রকৃত ঘটনাটি।
ওই নারীর কাছ থেকেও জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগেই সে তার চুল বিক্রি করে স্থানীয় এক ফেরিওয়ালার কাছে। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হবার পর তা কিছু গণমাধ্যম সংবাদ আকারেও প্রচার করে। বিষয়টি দারুণভাবে নাড়া দেয় সাভারের স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের। আর সে কারণেই ওই নারীকে সহায়তার জন্য ছুটে যান অনেকে।
ভাইরাল হওয়া সংবাদটি মিথ্যা উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান জুম্মন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উক্ত সংবাদটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশের পর নিজস্ব পদ্ধতিতে তদন্তে নামে উপজেলা প্রশাসন। তদন্তে জানা যায় ওই মহিলা প্রায় দেড় মাস পূর্বেই তার চুল কেটেছেন এবং করোনাকালীন দুর্যোগের জন্য অর্থকষ্টে তিনি চুল বিক্রয় করেননি। চুল বিক্রি করে দুধ কেনার ঘটনাটি সাজানো এবং এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন বিভ্রান্তিমূলক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সে সময় সাভার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ওই মহিলার কাছে ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সাহায্য নিয়ে যান। সাংবাদিকগণ সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এর পুরো বক্তব্য না নিয়ে আংশিক বক্তব্য প্রচার করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন