টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বিভিন্ন গ্রামে ফের ডাকাত আসার গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে মসজিদের মাইকের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে এই গুজব বেশি ছড়িয়েছে। এই খবরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত লোক রাতে রাস্তায় নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাত আসার গুজরে সূত্রপাত হয় উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে। পরে তা মুঠোফোন এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে মঙ্গলবার (২১এপ্রিল) রাতেও পাশ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার দাড়িয়াপুর থেকে গুজবের সূত্রপাত হলে পরে তা মির্জাপুর উপজেলা ও টাঙ্গাইল সদরেও ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য পরে পুলিশ এর কোন ভিত্তি খুঁজে পায়নি বলে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান জানান। তবে ওই গুজবে পৃথক স্থানে একটি মাইক্রো ও একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর এবং দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে জনতা।
বৃহস্পতিবার রাতের গুজবের বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, গোবিন্দপুর গ্রামে এক বাড়িতে একজন অপরিচিত লোক আশ্রয় চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাকাত আসার গুজব শুরু হয়। তবে খোঁজ নিতে গিয়ে এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ডাকাত আসার খবর পেয়ে গোবিন্দপুর গ্রামে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। ওই গ্রামের প্রফুল্ল সরকারের বাড়িতে রাতে অপরিচিত এক লোক দেখে বাড়ির লোক তার নাম পরিচয় জানতে চায়। কিন্ত লোকটি কোন উত্তর না দেয়ায় তারা উচ্চস্বরে চলে যেতে বলে। এ সময় ওই বাড়ির পাশ দিয়ে দুজন ডাকাত ভেবে চিৎকার করে। পরে ওই ঘটনা ফোনে ও ফেসবুকে ডাকাতির গুজব হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন