সেই প্রসূতি পালিয়ে যাননি, সিলেট ওসমানী হাসপাতাল ছেড়ে। সর্বত্র পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রচার হলেও মূলত বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছাত্রপত্র নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান তিনি। ছাড়পত্র নিয়েই হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। বুধবার ওসমানী হাসপাতালে এক সন্তান প্রসব হয় তার। কিছুক্ষণ পরই নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহদাত হোসেন বলেন, শুক্রবার ওই নারীকে খাদিমনগর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বিমানবন্দর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর ওই নারী পুলিশের কাছে হাসপাতালের ছাড়পত্রের কাগজ দেখান বলে জানান ওসি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ওসমানী হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের এক প্রসূতি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। শনাক্ত হওয়ার পরই ওই নারী নিখোঁজ এমন খরব প্রকাশ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে শুক্রবার সকালে বিমানবন্দর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের রঙ্গিটিলা গ্রামের বাসিন্দা ওই নারী বুধবার ওসমানী হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়ে দেয় তাকে। ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি চলে যান ওই প্রসূতি। নারীকে উদ্ধারের সময় পুলিশের সাথে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ইকলাল আহমদ বলেন, আমরা ছাড়পত্রের কাগজ দেখেছি। তার শরীরে বাহ্যিকভাবে কোনো লক্ষণ নেই অসুস্থতার। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ওসমানী হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, উপসর্গ থাকার কারণে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার ওসমানীর পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার পর রাতে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে রিপোর্ট আসার পর খোঁজ নিতে গিয়ে ওই নারীকে হাসপাতালে পাননি সংশ্লিস্টরা। এরপর বৃহস্পতিবার রাতভর পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী, স্থানীয় প্রতিনিধি মিলে ওই নারীর অনুসন্ধান নামে। শুক্রবার ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, ্ওই প্রসূতিকে উদ্ধার করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ইউনুছুর রহমান বলেন, ওই নারীর সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যসেবীদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন