লম্বা সময় ধরে মাঠে ফুটবল নেই। পৃথিবীর প্রায় সব লিগ বন্ধ। পরিস্থিতি যেভাবে আগাচ্ছে তাতে শিগগিরই মাঠে বল গড়ানোর আভাসও নেই। যদিও সব লিগ কর্তৃপক্ষ বিকল্প উপায় খুঁজছে বল মাঠে গড়ানোর। কিন্তু পরিস্থিতি বিচারে সে সম্ভাবনা খুব কম। আর এ কারণেই বেশ উদ্বিগ্ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে আছে গোটা বিশ্ব। গত ১৭ মার্চ থেকে লকডাউন ফ্রান্স। তবে এর মধ্যেই ক্লাব থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে নিজের দেশ ব্রাজিলে ফিরে গেছেন নেইমার। সেখানেই নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু দুশ্চিন্তা মাথা থেকে সরাতেই পারছেন না এ তারকা।
নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে নেইমার লিখেছেন, ‘কবে আবার আমরা খেলতে পারব তা জানতে না পারাই উদ্বেগের কারণ। খেলা, মাঠের লড়াই, ক্লাবের আবহ, পিএসজির সতীর্থ, সবকিছু মিস করছি। আমি সত্যি খেলা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ক্লাবের পরিবেশ ও আমার পিএসজি সতীর্থ সবকিছুকে মিস করছি।’ সঙ্গে যোগ করে আরও লিখেছেন, ‘ফুটবল খুব মিস করছি। আমি নিশ্চিত ভক্তরাও চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে মাঠে দেখতে। আশা করছি খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।’
তবে ফুটবল মাঠে গড়ালে যাতে ফিটনেসের ঘাটতি না হয় সে জন্য ব্রাজিলে ফিরে কোয়ারেন্টিন শেষ করার পরই কাজে লেগে গেছেন নেইমার। লকডাউনের মধ্যে কিভাবে কাজ করছেন তাও জানিয়েছেন তিনি, ‘আমার রুটিন শুরু হয় সকালের নাস্তা দিয়ে, এরপর প্রথম দফার অনুশীলন সেশন, তারপর বিরতি এবং সারাদিন এভাবেই চলে। মজার কিছু করি, যাতে আমার শক্তি ঠিকঠাক থাকে।’
দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত কোচ রিকার্দো রোসার অধীনে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিনের অনুশীলন। তার সঙ্গে অনুশীলন করছেন বন্ধু লুকাস লিমাও। নেইমারের সঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এ তরুণ, ‘নেইমার ও রিকার (রিকার্দো রোসা) সঙ্গে অনুশীলন করতে পেরে আমি দারুণ খুশী। তারা দুইজনই খুবই পেশাদার। এটা অবশ্যই আমাকে ভালো ছন্দে খেলতে সাহায্য করবে।’
সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলেছেন নেইমার। সে ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পায় তার দল পিএসজি। যার প্রথম গোলটা দিয়েছেন তিনিই। গত ১১ মার্চ এ ম্যাচ হওয়ার দুই দিন পরই ফ্রান্সের শীর্ষ লিগ ওয়ান ও টু অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তবে ফ্রান্সের প্রফেশনাল ফুটবল লিগ (এলএফপি) লিগ ওয়ান ও টু মাঠে গড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফের খেলা শুরু করার জন্য সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে আগামী ১৭ জুন বেছে নেওয়া হয়েছে। ২৫ জুলাইর মধ্যে লিগ দুটি শেষ করতে চায় তারা। তবে সবই নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের দমনের উপর।
উল্লেখ্য, স্পেন ও ইতালির পর ইউরোপে করোনাভাইরাস সবচেয়ে ভয়ানক হয়ে উঠেছে ফ্রান্সে। এখন পর্যন্ত (২৩ এপ্রিল) মারা গিয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন