বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মহেশখালীর সব পান বাজার বন্ধ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসন পান বিক্রি করে টাকা দেবে চাষিদের

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ২:৫১ পিএম

মহেশখালীতে একদিনে ৫ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ রোধে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মহেশখালীর সব পান বাজার। তবে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পান বিক্রি অব্যাহত রেখে চাষিদের টাকা বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে খুবই প্রশংসিত হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ।

আজ (২৫ এপ্রিল) শনিবার মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত করোনা সংক্রমণ রোধ সংক্রান্ত এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলমাম।

সভায় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মহেশখালীতে ২৩ এপ্রিল একদিনে ৫ করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় আরো
করোনা সংক্রমণ বিষয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। সংক্রমণ রোধে করণীয় সম্পর্কে সবার মতামত তুলে ধরা হয় ওই সভায়। আক্রান্তদের হিস্ট্রি মতে, মহেশখালীতে করোনা সংক্রমণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাইরে যাতায়াত করা পান ব্যবসায়ীরা।

তারা বাইর থেকে এসে আবারো বাজারে গিয়ে পান কিনতে বহু মানুষের সংস্পর্শে আসে। করোনা সংক্রমণ আরো ছড়ানোর প্রধান উপলক্ষ হিসেবে পানবাজারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসন মহেশখালীর সব পানবাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছেন।

অন্যদিকে পান পচনশীল পণ্য হওয়ায় পান বিক্রি বন্ধ রাখা যাবে না। তাই বাজার বন্ধ থাকলেও পান বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। এই ব্যবস্থাটি হলো, প্রশাসনই সরাসরি পান বিক্রি করে চাষিদের টাকা দেবে।

প্রতিটি পানচাষীর তালিকা তৈরি করে প্রশাসন পান সংগ্রহ করবে। সংগৃহিত পানগুলো সম্পূর্ণ প্রশাসনের উদ্যোগে বিক্রি করা হবে। চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকার পানের আড়তগুলো এবং ব্যবসায়ীদের সাথে সরাসরি এবং অনলাইনে যোগাযোগ করে নিরাপদ ব্যবস্থায় এসব পান রপ্তানি করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলমাম বলেন, প্রতিটির চাষীর সাথে যোগাযোগ করে পান সংগ্রহ করা হবে। চাষীরা পানগুলো সাজিয়ে এলাকা ভিত্তিক নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট লোকজন দিয়ে প্রশাসনের সরবরাহ করা গাড়ি দিয়ে বোঝাই করা হবে।
পানবোঝাই গাড়িগুলো জেলার সীমান্ত এলাকায় গিয়ে রপ্তানিকারকদের লোকজনকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। বিক্রিত পানের টাকা বিকাশসহ অন্যান্য সহজ মাধ্যমে পান ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো হবে।

সভায় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, করোনা মহেশখালী যেভাবে আক্রমণ করেছে তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। করোনা সংক্রমণ যেন আর না ঘটতে পারে তার জন্য একদম ছোট বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন