ইনকিলাব ডেস্ক : ক্ষমতা পেয়েই ভোল পাল্টালেন নতুন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, বাশার আল-আসাদ ক্ষতা থেকে না সরলে সিরীয় জনগণের দুরবস্থা কাটবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর মঙ্গলবার তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে প্রথম টেলিফোন সংলাপে এ কথা বলেন।এর আগে জনসন সিরিয়ায় আইএস দমনে আসাদ সরকারকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি তার ভোল পাল্টালেন।
গত ডিসেম্বরে লন্ডনের মেয়র থাকাকালীন জনসন স্থানীয় একটি পত্রিকায় লিখেছিলেন, সিরীয় বাহিনীর সমর্থন ছাড়া পশ্চিমা মিত্র বাহিনী সিরিয়ায় আইএস দমনে সফল হতে পারবে না। তিনি আরও লিখেছিলেন, সিরিয়ার মাটিতে আমরা শক্তিশালী একটা মিত্র চাই, সেটা ব্রিটিশ, ফরাসি কিংবা মার্কিন বাহিনী নয়।
তিনি লেখেন, সিরিয়ায় ৭০ হাজার জিহাদি আছে। এরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত। আল-কায়েদার চেয়ে এদের দর্শন খুব একটা ভিন্ন নয়। সেখানে আর কে আছে?- এমন প্রশ্ন রেখে জনসন বলেন, সেখানে আসাদের সৈন্য বাহিনী রয়েছে। আমরা জানি, সম্প্রতি তার বাহিনী আইএসের বিরুদ্ধে বেশ এগিয়ে গেছে। এ জন্য রুশ বিমান অভিযানকে আংশিক ধন্যবাদ দেয়া যায়। এখন হোমসের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আসাদ বাহিনী। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জিহাদিরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সরে পড়ছে। এটা কি খারাপ লক্ষণ? আমি তা মনে করি না।
অথচ মঙ্গলবারের সংলাপের আগে এক বিবৃতিতে জনসন বলেন, সিরিয়ার ব্যাপারে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করতে চাই। আর তা হলো, আসাদ সরকার ক্ষমতা থেকে না সরলে সিরীয়বাসীর দুরবস্থা কাটবে না। তিনি বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মত হচ্ছে- আসাদ স্বল্প সময়ের জন্য থাকতে পারেন অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ হয়ে, তার বেশি নয়। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই আসাদ সরকারের প্রতি রুশ সমর্থনের বিরোধিতা করে আসছে। আসাদ প্রশাসনও আস্থাবান যে, রাশিয়া তার ওপর থেকে কখনোই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবে না। দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন