শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কয়েক মিনিটের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি : এরদোগান

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেছেন তিনি। গত সোমবার তার এ সাক্ষাৎকার নেন সিএনএনের সাংবাদিক বেকি এন্ডারসন। এ সময় এরদোগান বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তার সরকার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেনকে ফেরত দেয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানাবে। তিনি বলেন, তুরস্কের দক্ষিণে উপকূলীয় শহর মারমারিসে তিনি অবকাশ যাপন করতে গিয়েছিলেন। সেখানেও অভ্যুত্থানকারীরা পৌঁছে গিয়েছিল। তাদের হাত থেকে মাত্র কয়েক মিনিট আগে তিনি পালিয়েছেন। এতে মৃত্যুর হাত থেকে তার রক্ষা মিলেছে। তিনি বলেছেন, যে অবকাশযাপন কেন্দ্রে তিনি ছিলেন শনিবার খুব ভোরে সেখানে হামলা চালায় অভ্যুত্থানকারীরা। তাদের হাতে তার দুজন দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। এরদোগানের ভাষায়, আমি যদি সেখানে আর মাত্র ১০ থেকে ১৫টি মিনিট বেশি অপেক্ষা করতাম তাহলে আমাকে হত্যা করা হতো অথবা আমাকে নিয়ে যাওয়া হতো।
অভ্যুত্থানের রাত সম্পর্কে তিনি বলেন, ইস্তাম্বুলে আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল অভ্যুত্থানকারীরা। তারা বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারও তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। এরপরই সরকারের সমর্থক সেনারা তা দখলমুক্ত করতে সক্ষম হন। তিনি জানান, তার বিমান যখন এ বিমানবন্দরে অবতরণ করে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার ১০ হাজার সমর্থক। ইনসারলিকসহ সব সামরিক ঘাঁটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ব্যর্থ অভ্যুত্থানকারীদের কি মৃত্যুদ- দেয়া হবেÑ এ বিষয়েও কথা বলেন তিনি। জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নির্ধারণ করবে দেশের পার্লামেন্ট। যদি পার্লামেন্ট মৃত্যুদ- পুনর্বহাল করার পক্ষে রায় দেয় তাহলে তা আইনে পরিণত করার জন্য তিনি স্বাক্ষর করবেন। তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থান চেষ্টা স্পষ্টত রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তাই এখন পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে কী সাংবিধানিক ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ বিষয়ে তারা সবাই বলে আলোচনা করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করব।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ- বাতিল করে। সবশেষ সেখানে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয় ১৯৮৪ সালে। এর এক বছর আগে সেখানে অবাধ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে ১৯৮০ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেসামরিক শাসনে ফিরে আসে তুরস্ক। তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পর কোন মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় নি সেখানে। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পূর্বশর্ত এটা। ফলে সেখানে প্রায় ৫০০ মৃত্যুদ-কে লঘু করে ১০ বছরের সাজায় পরিণত করা হয়েছে। এখন যদি নতুন করে মৃত্যুদ- পুনর্বহাল করা হয় তাহলে তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন