বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

গণস্বাস্থ্যের করোনা পরীক্ষার কিট হস্তান্তরে ছিলো না সরকারের কেউ: সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০৬ পিএম

চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা ভাইরাস টেস্টিং কিট শনিবার সরকারের কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান উপস্থিত ছিলো না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কাছে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার বেলা ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এ কিট হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডাব্লিউএইচও) বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে এই কিট নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।

অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত না থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা।

সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিট সরকারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কিট নিতে যায়নি বাংলাদেশের সরকারী কোনো প্রতিনিধি। তবে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এই কিট গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই গবেষণার লোকের অভাব নেই। তবুও তারা এই কিট নিয়েছে। এখন বুঝি, মেধাবীরা কেন এদেশ ছেড়ে চলে যায়? যে জাতি গুণীর মর্যাদা দেয় না সে জাতিতে গুণী জন্মায় না। হায়রে আত্মঘাতী বাঙালী! আফসোস! আফসোস!!’

‘হায়রে রাজনীতি! করোনা টেস্টিং কিট সংগ্রহ করতে সরকারের কেউ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যায় নি, এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের কেউ না আসাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট পরীক্ষার জন্য হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে নিজেরাই কিট পৌঁছে দেবে গণস্বাস্থ্য। তবে, গণস্বাস্থ্যের কাছ থেকে কিটের নমুনা সংগ্রহ করেছে মার্কিন সংস্থা সিডিসি। একটা কথা বলি, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোন ত্রাণ চোর নয়, ব্যাংক ডাকাত নন, রাজাকারও নন, বরং স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শী- এটা আমার কাছে মূর্খ্য বিষয় নয়। আমি আওয়ামী লীগ করি, আপনি বিএনপি করেন, আরেকজন জাতীয় পার্টি করে—এটা তো ভাই দোষের কিছু না৷’ - আমিনুল ইসলামের মন্তব্য।

মিজানুর রহমান লিখেন, ‘ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা শনাক্তের কিট (অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে) আবিষ্কার করে মনে হয় বিরাট দোষ করে ফেলেছেন। গতরাতে ৭১ টিভির লাইভে দেখলাম ওষুধ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উনাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করলো।এর আগে ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক সাহেব কোন কিছু না বুঝেই আগেই বলে দিলেন অ্যান্টিবডি পদ্ধতির কিট কার্যকরী হবে না, অথচ গণস্বাস্থ্যের কিট অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে তৈরি, এন্টিবডি পদ্ধতির নয়। এবং তারা এর কার্যকারিতা শতভাগ পরীক্ষিত দাবি করে সরকারের কাছে যথাযথ পরীক্ষার জন্যই হস্তান্তর করছে। আজ কিট হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় আমেরিকাভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র ছাড়া দেশের কেউ উপস্থিত হলেন না। অথচ বিদেশ থেকে এই কিট বাণিজ্যিকভাবে নেওয়ার জন্য যোগাযোগও করছেন। এদিকে দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের হার বেড়েই চলেছে।’

হতাশা প্রকাশ করে সৈয়দ রানা মুস্তফী লিখেন, ‘হে মোর দুর্ভাগা দেশ! যে আশংকার কথা লিখেছিলাম প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তা-ই ঘটলো! করোনার এই ভয়ঙ্কর সময়েও আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতারই জয় হলো। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা পরীক্ষার কিট নিরীক্ষার জন্যে জমাই দিতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ আসছে না বলে!’

খাইরুল আলম আশরাফি মনে করেন, ‘সরকারের উচিত এগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত! কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাকে কোন গুরুত্বইই দেওয়া হয় না!’

ক্ষোভ প্রকাশ করে এমডি রাশেদুজ্জামান আসিফ লিখেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরকারের কেউ কিট নিতে যায়নি কেনো? ওখানে গেলে কি জাত থাকবে না? ভিন্ন মতের কাউকেই সহ্য করা হয় না এদেশে। ২য় তো আমলারা বিদেশ থেকে কিট কিনার নামে টাকা মারতে পারবে না।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Wahid Hasan ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৫০ পিএম says : 0
আমরা এই জাতি আর শুদ্ধ হবনা।
Total Reply(0)
Wahidul jewel ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম says : 0
বিদেশ থেকে করোনা কিট কিনলে তো কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হবে আমাদের দেশের মেধাবীরা তৈরি করলে সেগুলো সরকার নেবে না, কালকে যারা যায়নি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকদিন আগে থেকে খেলা করেছে, এখন সাধারণ মানুষের চাল চুরি করবে ঔষধ চুরি করবে আর বিদেশীদের কাছে পাওয়া যায় সাধারণ মানুষ মরলে তো কিছু সাহায্য বেশি আনা যাবে সাধারণ মানুষ আমরা গরু ছাগলের সমান সরকারি লোকেদের কাছে, ভিআইপি হাসপাতাল বানাবে নিজেদের ট্রিটমেন্ট হবার জন্য আমরা তো না মরলে টেস্টিই করাতে পারবো না, আমাদের মোরে প্রমাণ করতে হবে আমাদের করনা হয়েছিল কি হয়নি।
Total Reply(0)
এম,এইচ মাসুম ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৭:০৬ পিএম says : 0
আমার হ্নদয়ে রক্ত ক্ষরন হচ্ছে,মনে মনে লালন করছি আমার দেশ বিশ্বে সুনাম বয়ে আনবে কিন্তু কুচক্রী মহলের কাছে প্রতিভার আত্নহনন!!! আর আমার কিছু বলার নেই???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন