শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অবিরাম বর্ষণে ঝুঁকিতে বোরো ধান

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৪ এএম

বৈশাখের অবিরাম বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলার মাঠে থাকা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হেক্টর জমির উঠতি বোরো ধান মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। এবার বরিশাল বিভাগের ৬টি ও ফরিদপুর অঞ্চলের ৫টি জেলায় প্রায় সোয়া ৩ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষে কাজ করছেন কৃষকগণ। কিন্তু ২০ এপ্রিল থেকে কালবৈশাখী ও লাগাতর বৃষ্টিপাতে বোরো ধানের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে শংকিত কৃষকগণ। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে অনেক বোরো ধানের জমিতে পানি জমতে শুরু করেছে।
চলতি রবি মৌশুমে দেশে প্রায় ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মাধ্যমে ২ কোটি ৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়। আবাদ লক্ষ্যও অর্জিত হয়েছে বলে জানা যায়।
অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে বোরোর আবাদ যথেষ্ঠ বিলম্বিত হওয়ায় ধান কর্তনও হয় দেরিতে। উত্তরবঙ্গসহ হাওর অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৫০-৬৫% জমির বোরো কাটা শেষ হলেও বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় কর্তন শুরুই হয়নি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫টি জেলার ১০% জমির ধানও কাটা হয়নি। বেশীরভাগ জমির ধানই সবুজ। তবে কিছু জমিতে সোনালি রঙ ধারণ করতে শুরু করলেও তা কাটার উপযোগী হতে আরো ১৫-২০ দিন সময় লাগবে বলে কৃষকগণ জানিয়েছেন।
কিন্তু এরই মধ্যে গত ২০ এপ্রিল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে হালকা থেকে মাঝারী কালবৈশাখীতে ভর করে। গত এক সপ্তাহে বরিশালে প্রায় দেড়শ মিলিমিটার বৃৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফরিদপুর অঞ্চলেও প্রায় একই অবস্থা। অথচ বর্ষা মাথায় করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌশুমী বায়ু দক্ষিণ উপকূলে প্রবেশ করার কথা মে মাসের শেষ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহে।
গত ২০ এপ্রিল বরিশালে প্রথম কালবৈশাখীর বৃষ্টি হয়েছে ১২ মিলিমিটিার। এরপর থেকে প্রতিদিনই দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি থেকে বিশাল জনপদ। ২১ এপ্রিল বরিশালে ২ মিলিমিটার, ২২ এপ্রিল ৯.৪ মিলি, ২৩ এপ্রিল ৬ মিলি, ২৪ এপ্রিল ৫৫.২ মিলি, ২৫ এপ্রিল ৪৭.৮ মিলি এবং গতকাল রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আরো প্রায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালে।
কৃষি মন্ত্রনালয় সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। বিষয়টি নিয়ে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলেও এ বর্ষণ অব্যাহত থাকলে মাঠে থাকা বোরো ধানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন