মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জঙ্গিদের দৃষ্টি আগে শহরকেন্দ্রিক ছিল এখন দুর্গম গ্রামাঞ্চলে!

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান বলেছেন, জঙ্গিদের দৃষ্টি আগে শুধু শহরকেন্দ্রিক ছিল। এখন তাদের টার্গেট দুর্গম গ্রামাঞ্চলে। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম। সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই ‘ভিলেজ ডিফেন্স পার্টি’র হাতে বাঁশের লাঠি তুলে দিয়েছি। তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে পুলিশ। বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে জঙ্গি বা সন্ত্রাসীরা খুবই নগণ্য। খুলনার কয়রার প্রত্যন্ত এলাকায় ও মাগুরায় ‘পাবলিক’ জঙ্গিদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপরোক্ত কথা বলেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক এসএম মনির-উজ-জামান। এর আগে একই স্থানে তার সভাপতিত্বে খুলনা বিভাগের দশ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও ৬৩টি থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) উপস্থিতিতে বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভা পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি মনি বলেন, বলতে দ্বিধার অবকাশ নেই; কারা ব্যস্ত জঙ্গি তৎপরতায়-বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে যারা আগুন সন্ত্রাস করে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছিল তারাই ভিন্ন নামে এখন জঙ্গি হামলায়। টার্গেট কিলিং করছে। মসজিদে, মন্দিরে নাশকতায় সক্রিয়। আমরা চাই না বাংলাদেশ একটি আফগানিস্তান হোক। যেখানে একটি শিশু বেড়ে উঠে বারুদের গন্ধে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ঝিনাইদহে সম্প্রতি ৪টি ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সকলেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এ থেকে স্পষ্ট হয়- ২০১৩, ২০১৪ সালে যারা শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাÐে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তারাই এখন ভিন্ন নামে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু কোনোভাবেই সেটা সফল হবে না।
১০ জেলায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন উল্লেখ করে ডিআইজি আরো বলেছেন, খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি জেলা সদরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের নিদের্শনা দিয়েছি। কেউ যদি ভুল বুঝতে পেরে-আইনের কাছে আত্মসমার্পণ করে, তবে তাকে আইনানুগ সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হবে।
চরমপন্থী সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, জঙ্গির আঁড়ালে চরমপন্থী উত্থানের সুযোগ নেই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থীদের সেই আনাগোনা এখন আর নেই। তবুও যদি চরমপন্থীর সন্ধান পাই-তবে তাদের নির্মূলে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ একরাম উল হাবিব, র‌্যাব-৬ পরিচালক খোন্দকার রফিকুল ইসলামসহ খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগের সকল এসপি, এএসপি এবং ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন