চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দুর্ভোগ বাড়ছে। ক্ষণে ক্ষণে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় অতিষ্ঠ ঘরবন্দি মানুষ। পবিত্র মাহে রমজানে বিঘিœত হচ্ছে ইবাদত বন্দেগি। বিদ্যুতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানি সঙ্কট।
সঞ্চালন ব্যবস্থায় ত্রুটি, গ্রিড বিগড়ে যাওয়ায় এবং ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ার ঘটনা এখন নিত্যদিনের। সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না। আছে লো-ভোল্টেজের সমস্যাও।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শাটডাউনে বন্ধ দোকান পাট, মার্কেট, বিপণীকেন্দ্রসহ অনেক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যুতের চাহিদাও কমেছে। সবকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। এরপরও বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজি। লকডাউন শুরুর পর বিদ্যুতের আসা-যাওয়া বাড়তে থাকে। রমজানে বিভ্রাট আরও বাড়ছে। মঙ্গলবারও নগরীর কাজির দেউড়ি, লালখান বাজার, এনায়েত বাজার, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, পাথরঘাটা, বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ, আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাহাড়তলী, পতেঙ্গাসহ অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। কোথাও ঘণ্টায় কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যায়।
সোমবার রাতে নগরীর খুলশী গ্রিড এবং হাটহাজারীতে গ্রিড স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। মহানগরীর চেয়ে গ্রামের অবস্থা আরও বেশি শোচনীয়।
এতে জন দুর্ভোগ বাড়ছে। অনেক এলাকায় বাসা-বাড়িতে দিনের বেলায়ও লাইট জ¦ালিয়ে রাখতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরবন্দি মানুষের দিন কাটছে অসহনীয় যন্ত্রনায়। গরমে কাহিল অসুস্থ, বৃদ্ধ এবং শিশুরা বেশি কষ্ট পাচ্ছে। নগরীর অনেক ওয়ার্ডে ওয়াসার পানি সরবরাহ নেই। টানা বিদ্যুত না থাকায় গভীর নলকূপ থেকে পানি তোলা বিঘিœত হচ্ছে।
চালু পোশাক কারখানাগুলোতে বিদ্যুতের সঙ্কট চলছে। হাসপাতালসহ জরুরি সেবায়ও চলছে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি। ভোল্টেজ উঠা নামায় নষ্ট হচ্ছে বৈদ্যুতিক সামগ্রী।
বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নে বড়সর বাজেটও বরাদ্দ হয়। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্রাহকরা বলছেন হাজার হাজার কোটি টাকার সুফল কই। ক্ষুদ্ধ অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
এ প্রসঙ্গে পিডিবি চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, চট্টগ্রামে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি বা লোডশেডিং নেই। তবে কিছু কিছু এলাকায় সঞ্চালন ব্যবস্থা বিগড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ঝড়, বজ্রপাতের কারণেও সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন