জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় এবং পরিচালক (প্রশাসন) এর তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের পরিচালনায় রমজানের ৫ম দিনে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার ও খাড়াতাইয়া বাজারে এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এ সময় আদার ক্রয়মূল্য বেশি দেখিয়ে মিথ্যা ঘোষণা দ্বারা ভোক্তা সাধারণকে প্রতারিত করা, বেশি দামে পণ্য বিক্রয় ও দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জনাব আল আমিন নামের একজন ভোক্তার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওজনে কম দেওয়ার কারণে সাহেবাবাদ বাজারের জামালের সবজির দোকানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
২৯ এপ্রিল বুধবার সকালে সরেজমিন তদন্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ অভিযোগের সত্যতা মেলায় এ জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী, আইনের ৭৬ (৪) ধারার বিধানবলে এ জরিমানার ২৫% হিসাবে ১ হাজার ৫শ টাকা নগদ প্রণোদনা পান। ভোক্তা অধিকারের এ অভিযানে উল্যেখিত বাজারে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন, কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করতে, পাইকারী ক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হয়। প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুদ ও সরবরাহ আছে বলেও মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। ফলে আতঙ্কিত হয়ে ভোক্তা সাধারণকে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করতে ও ব্যবসায়ীদেরকে কারসাজি করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না করতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়। সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা পুলিশের একটি টিম এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন। কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন