বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার পশ্চিম আশেকপুর গ্রামে সালমা (২৬) নামের এক যুবতীকে ধর্ষণ ও হত্যার ২ দিনের মাথায় পুলিশ ধর্ষক ও ঘাতককে গ্রেফতার করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার দিবাগত রাতে শাজাহানপুর উপজেলার পশ্চিম আশেকপুর গ্রামে নিজ বাড়ির কাছাকাছি ধান ক্ষেতে ধর্ষণের পর খুন হয়। পরদিন সকালে লোকমুখে খবর পেয়ে পুলিশ সালমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
নিহত সালমার বাবা-মায়ের দেয়া তথ্য ও মোবাইলে সালমার সাথে কোন একজনের ফোনালাপের সূত্র ধরে তার প্রাক্তন স্বামী সোহেল শাকিদারকে (৩০) আটক করে জেরা করলে সে সালমাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিবরণ দিয়ে গতকাল বিকেলে সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে সোহেল জানায়, বিবাহ বিচ্ছেদের প্রতিশোধ নিতে ভিন্ন একটি মোবাইল সিম ব্যবহার করে ভুয়া পরিচয়ে প্রাক্তন স্ত্রী সালমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার রাতে সে মোবাইল ফোনে সালমাকে তার বাড়ির পাশের নির্জন জায়গায় দেখা করতে রাজি করায়। সালমা গভীর রাতে পূর্বপরিকল্পনা মতো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেখানে তার প্রাক্তন স্বামীকে দেখে চমকে ওঠে। বুঝতে পারে সোহেলের চালাকি। তখন ফিরে আসতে চাইলেও সোহেল তাকে আটকে দেয় ও জোরপূর্বক ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
উল্লেখ্য, ২ সন্তানের জননী সালমা কিছুদিন আগে সোহেলকে তালাক দিয়ে নিজের বাবার বাড়িতে ফিরে এসে ২ সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিল। সোহেল বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। বিভিন্নভাবে সে সালমাকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত করে নিজের আক্রোশ মেটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন