বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কিশোর বয়সেই পারভেজ ভয়ঙ্কর অপরাধী

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২০, ১২:০৪ এএম

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ভয়ঙ্কর অপরাধী হয়ে উঠে পারভেজ। ছিঁচকে চোর থেকে খুন ও এক বিকৃত মানসিকতার ধর্ষক হয়ে যায় সে। এ বয়সেই চারটি ধর্ষণ ও পাঁচটি খুনের অভিযোগ রয়েছে কিশোর পারভেজের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশি এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নয় মাস জেলও খেটেছে। মুক্তির পর আরও ভয়ঙ্ক হয়ে ওঠে পারভেজ। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৩ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রীসহ তিন সন্তান খুনের মূল হোতা পারভেজ। গত ২৬ এপ্রিল রাতে শ্রীপুরের আদাবর এলাকা থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, পারভেজ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। এরই মধ্যে চার খুনের আলামত সংগ্রহ করে সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসলে এই হত্যার রহস্য আরও পরিষ্কার হবে। হত্যা ও ধর্ষণে কয়জন জড়িত ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গাজীপুরের শ্রীপুরের আদাবর কলেজপাড়ায় বেড়ে উঠেছে পারভেজ। বাবা কাজিম উদ্দিন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকায় স্কুলের গন্ডি পেরোনো হয়নি এই কিশোরের। ছোট থেকেই ছিঁচকে চুরি দিয়ে শুরু করা এই কিশোর আসক্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন নেশাতেও।
২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আপন চাচার ভাড়াটিয়া হাসান ফালানের সাত বছরের ছোট মেয়ে লিলিমাকে চকলেট কিনে দেয়ার প্রলোভনে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এই ঘটনায় শ্রীপুর থানার একটি মামলা হয়। সেই মামলায় নয় মাস পর জেল থেকে জামিনে বের হয় পারভেজ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

পিবিআই জানায়, ধর্ষণ মামলায় জামিনে বের হয়ে প্রতিবেশি মালয়েশিয়া প্রবাসী রেদোয়ানুল ইসলাম কাজলের মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবরিনা সুলতানা নূরা ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী হাওয়ারিনকে প্রায় উত্যক্ত করত পারভেজ। বাড়ির সামনে কেরাম বোর্ড বসিয়ে খেলার পাশাপাশি নিয়মিত জুয়া, মাদকসেবন ও আড্ডা দিত।
দেড় মাস আগে এক সন্ধ্যায় গোপনে প্রবাসীর বাড়িতে ঢোকে পারভেজ। পরে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ধরা পড়ে। দুই যুগ ধরে কাজল মালয়েশিয়ায় থাকেন। ছুটিতে বাড়ি আসেন। ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ফাতেমাকে মালয়েশিয়াতে বিয়ে করেন। সেখানেই তাদের দুই মেয়ের জন্ম হয়। পরে সবাই বাংলাদেশে এসে বসবাস শুরু করে। কাজল আবারো প্রবাসে চলে যান।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- কাজিম উদ্দিন, মো. বশির, মো. হানিফ, মো. হেলাল ও মো. এলাহি মিয়া।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া থেকে হুন্ডির মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ টাকা পাঠিয়েছে এমন খবরে প্রতিবেশির বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে পারভেজ ও তার বাবা কাজিম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন। ঘটনার রাতে গ্রিল ভেঙে প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে পারভেজ। এরপর আরও কয়েকজন প্রবেশ করে।
তারা প্রথমে প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমাকে জিম্মি করে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও হাতে-গলায় থাকা স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। চেহারা চিনে ফেলায় প্রথমে ধর্ষণ, এরপর কুপিয়ে হত্যা করে। একইভাবে দুই মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। সবশেষ বাড়িতে থাকা প্রতিবন্ধী ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পারভেজও এই হত্যাকান্ড ও ধর্ষণে অংশগ্রহণ করে। ফাতেমা ও তার মেয়েরা পারভেজ ও তার বাবা কাজিমকে চিনে ফেলায় সবাইকে হত্যা করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Mehedhi Hasan ৩ মে, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
ধরা পরার পর সবাই এমন অপরাধি জঙ্গিদের প্রধান আরও কত কিছু। আমার প্রশ্ন যখন সে একটি অপরাধ করেছিল তখন এমন খবর আসেনি কেন?কেন আইনের আওতায় আসেনি সে?
Total Reply(0)
Omar Shrif ৩ মে, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
দেখতেই চেং চোরের মত লাগে।এর জন্য কিসের আবার আদালত একে যানবাহনের পিচনে রসি দিয়ে বেঁধে চেঁচড়িয়ে মারা উচীত।শুদু সময় নষ্ট না করে এদের মৃত্যু যত দ্রুত কার্যকর করবে ততই সরকার বাহবাহ পাবে।
Total Reply(0)
Hassan Palash ৩ মে, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
No more talk, only Encounter
Total Reply(0)
Abu Hanif ৩ মে, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
এগুলারে সরাসরি ক্রসফায়ার দিলেই দেশে এসব অপরাধ কমবে নচেৎ এসব অপরাধ দমন করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
Total Reply(0)
Mynul Byzid ৩ মে, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
ওরে ক্রসে দিয়া কোনো লাভ নাই ! ওর হাত পা হামার দিয়া পিষে সুস্থ করে বায়তুল মোকারমে ভিক্ষায় বসাতে হবে ! ওর জীবনের প্রতেকটা দিন ও মৃত্যুর জন্য দোয়া চাইবে ! এইভাবে জীবিত থাকা মৃত্যুর থেকেও ভয়ংকর হবে .
Total Reply(0)
MD Uzzol Hosen ৩ মে, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
কিশোর বয়সেই ক্রসফায়ার দেওয়া উচিৎ..নাহলে পরিনত বয়সে কি হবে আল্লাহ ই জানে
Total Reply(0)
Habib All Bahar ৩ মে, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
জামাত-শিবির করলে ক্রসফায়ার, এদেরকে ক্রসফায়ার কেন দেওয়া হয়না, কারণ এরা বড় হয়ে আওয়ামী লীগ হবে
Total Reply(0)
Mohamed Rabiul Hassan ৩ মে, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
Now to time finish him direct cross fire otherwise he will be go more forward
Total Reply(0)
Md Abdul Jalil ৩ মে, ২০২০, ৩:৩৬ এএম says : 0
Direct encounter.No sacrefic.
Total Reply(0)
Al amin ৩ মে, ২০২০, ১১:১৭ এএম says : 0
কিশোর বয়সেই ক্রসফায়ার দেওয়া উচিৎ..নাহলে পরিনত বয়সে কি হবে আল্লাহ ই জানে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন