করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারণে সাধারণ ছুটি আরো ১১ দিন বৃদ্ধি করেছে সরকার। ঈদ-উল-ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।
গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ছুটি বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৫ মে তারিখের পর শর্তসাপেক্ষে বিদ্যমান সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। আগামী ৭ থেকে ১৪ মে তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ৬ মে (বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি), ৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬ মে তারিখের সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও এই ছুটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ছুটিকালীন জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
জরুরি পরিষেবা, যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এ দুটির বাইরে থাকবেন।সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে। কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সবের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ দুটি প্রযোজ্য হবে না।
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ঔষধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীগণ এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে। ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রণীত বিভিন্ন শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে। সাধারণ ছুটিকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসসমূহ প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। সেইসঙ্গে তারা তাদের অধিক্ষেত্রের কার্যাবলি পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। ঈদ-উল-ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। সাধারণ ছুটিকালীন জরুরি পরিষেবা ছাড়াও গণপরিবহন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল এবং পরে ৫-৯ এপ্রিল, পরে ১৪ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন