শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাইফস্টাইল

খাদ্যাভ্যাসে দূরে থাকবে করোনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। খাদ্যাভাস থেকে ফেলা দেয়া হোক ‘আলট্রা প্রোসেসড ফুড’। এমন পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির চিকিৎসক ভারতীয় অসীম মালহোত্রা। 

প্রাণঘাতী করোনা থেকে থেকে বাঁচতে তিনি খাদ্যাভ্যাসের উপর নজর দেয়ার পরামর্শ দেন। তার মতে, অতিরিক্ত ওজন ও ওবেসিটি শরীরের রোগ প্রতিরোধক মাত্রা কমিয়ে করোনা বৃদ্ধির প্রবণতাকে তরান্বিত করছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনশৈলীর ভিত্তিতে তৈরি রোগভোগের সংখ্যা এমনিতেই কম নয়। এই জীবনশৈলী ডেকে আনছে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদয়ঘটিত রোগ।
এই তিন রোগই, যার পিছনে অন্যতম কারণ অতিরিক্ত মেদ ও ওজন। মৃত্যুর হার বাড়ার পিছনে অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। আমেরিকা ও ইউরোপে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, দেখা গেছে তাদের ৬০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবনশৈলীর দরুণ উল্লেখিত রোগগুলোর শিকার ছিলেন।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট জানা যাচ্ছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিনড্রমে আক্রান্তদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা সুস্থ মানুষের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। ডা. মালহোত্রা জানাচ্ছেন, এই রোগগুলোর জন্য ব্যবহৃত ওষুধের রোগ প্রতিরোধক বা মৃত্যুহার কমানোর ক্ষমতা সামান্যই।
অর্থাৎ, এগুলো কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপদ্ধতিই রোগের আসল দাওয়াই। তাই আলট্রা প্রোসেসড প্যাকেটেড খাদ্য পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ এতে অধিক পরিমাণে শর্করা, স্টার্চ, অস্বাস্থ্যকর তেল থাকে। সে সঙ্গে অ্যাডিটিভিস ও প্রিজার্ভেটিভস। যা অবশ্য বর্জনীয়। পরিবর্তে যথেষ্ট শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, মাছ, গোশত, এমনকী প্রয়োজনে রেড মিটও খাওয়া উচিত। সূত্র : ইস্টার্ন আই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
M M Mun ৫ মে, ২০২০, ১:২৮ এএম says : 0
জোটে না ফ্যান,আবার দুধও রোজ!
Total Reply(0)
কাজী হাফিজ ৫ মে, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
জীবনের সব ক্ষেত্রে ভালো থাকার জন্য জীবনধারণে অভ্যাসগত পরিবর্তন প্রয়োজন।
Total Reply(0)
কল্যাণমূলক চেতনা ৫ মে, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
রোগ হলে ওষুধের সাইড এফেক্ট থাকলেও ওষুধ খেতেই হয়। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগবালাই থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ঝগড়া–মারামারি হলে যেকোনো মূল্যে উভয়েরই জিততেই হবে, অথচ টলারেন্স পাওয়ার বাড়ানো অথবা মানবতাবোধ বাড়ানোর মাধ্যমে মারামারি থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
Total Reply(0)
জোহেব শাহরিয়ার ৫ মে, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবেশি সবারই আছে। শরীরে অ্যান্টিবডি যত বেশি থাকবে, রোগবালাই থেকে তত বেশি রক্ষা পাওয়া যায়। আর এই অ্যান্টিবডি বাড়ানোর বিকল্প নেই।
Total Reply(0)
তোফাজ্জল হোসেন ৫ মে, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
রোগের চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ অনেক ভালো। ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর’ রোগ প্রতিরোধের জন্য সবার সমন্বিত ভূমিকা প্রয়োজন। যেমন এলাকায় ১টি নর্দমা/ময়লার আধারস্থল পুরো এলাকার হাজারো সচেতন মানুষের জীবন নিয়ে নিতে পারে। সারা দিন যাঁরা মাস্ক পরে চললেন, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে চললেন, যাঁরা অনেক সচেতন ছিল, সেই মানুষ লিফটের ইনফেকটেড সুইচ দেওয়ার সময় যাতে করোনায় আক্রান্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন