পুরো দমে চালু হয়েছে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকল। করোনা দুর্যোগে সরকারি ছুটির ১ মাস ১০ দিন পর গতকাল বুধবার থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে এসব পাটকল।
এর আগে সরকারের খাদ্য বিভাগের বস্তা সরবরাহের জন্য গত ২৬ এপ্রিল খুলনাঞ্চলের ৮টি জুটমিল আংশিকভাবে চালু হয়। শ্রমিকদের ৪টি বকেয়া মজুরি দেয়া হলেও তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় সমস্যায় আছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১৪ সপ্তাহের মজুরি না পাওয়ার হতাশাগ্রস্ত শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির জন্য ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। সে টাকা গত সোমবার শ্রমিকরা হাতে পেয়েছে। শ্রমিকরা জানায়, তারা ৪ সপ্তাহের মজুরি হাতে পেয়ে তারা কিছুটা খুশি। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন মাসের বেতন না পেয়ে চরম অর্থ কষ্টে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, এক দিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে রমজান ফলে চরম আর্থিক সমস্যায় দিন কাটছে তাদের। অবিলম্বে তাদের বেতন পরিশোধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে এখনও করোনা মুক্ত হয়নি দেশ। এর মধ্যে সাধারণ শ্রমিকরা কিভাবে নিরাপদে কাজ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিজেএমসি খুলনা জোনের সমন্বয়কারী মো. বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল নিয়ম মেনেই পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে। সবমিলে থাকছে স্কানিং থার্মমিটার।
এ ব্যাপারে ক্রিসেন্ট জুটমিলের প্রকল্পপ্রধান খান মো. কামরুল ইসলাম জানান, তার মিলের প্রধান দু’টি ফটক দিয়ে শ্রমিকরা মিলে প্রবেশ করে। এ দু’টো প্রবেশ পথে স্কানিং থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করে সেখান থেকে সুস্থ্যদের একটি টোকেন দেয়া হবে। যাদের জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা ধরা পড়বে তাদের টোকেন দেয়া হবে না। টোকেন ছাড়া ফ্যাক্টরিতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে মিল এলাকায় করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এভাবে প্লাটিনাম, স্টার, খালিশপুর, আলীম, দৌলতপুর, ইস্টার্ন, জেজেআই ও কার্পেটিং জুটমিলে করোনা সংক্রমণ রোধে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েই শ্রমিকদের কাজের অনুমতি মিলবে। মিলগুলো চালুর মধ্যদিয়ে আবারও চাঞ্চল্যতা ফিরেছে খুলনা শিল্পাঞ্চলে। কর্মমূখর হচ্ছে পাটকলগুলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন