বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

শপিংমল-মার্কেট খোলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২০, ১২:০৪ এএম

করোনাকালীন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন এলাকায় শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার ব্যাপারে ১৪টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্ধারিত সময় শপিংমল ও দোকান খোলা রাখা গেলেও ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে অস্থায়ী দোকানপাট বসতে না দেয়া, এক এলাকার ক্রেতাদের অন্য এলাকায় কেনাকাট করতে না দেয়া এবং ক্রেতাদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা, শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবানুনাশক টানেল স্থাপন করা এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখার বিষয়েও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

ডিএমপির দেয়া নিদের্শনা গুলো হচ্ছে, (১). সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখা যাবে, তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার, ফেরীওয়ালা, অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেয়া যাবে না। (২). করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ক্রেতাগণ তাদের নিজ নিজ এলাকার ২কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমল সমূহে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবেন না। (৩). বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য প্রত্যেক ক্রেতা তার নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন: ব্যক্তিগত আইডি কার্ড, পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূলকপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবেন। (৪). প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবানুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেক দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে। (৫). প্রতিটি শপিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরিধান ব্যাতীত কোন ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেনা। সকল বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে হবে। (৬). প্রতিটি শপিংমল/বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে’ সম্বলিত ব্যানার টানাতে হবে।
(৭). প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। (৮). সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে। (৯). শপিংমলগুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করতে হবে। (১০). কেনাকাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। (১১). শপিংমলগুলোতে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে। (১২). যারা মাস্ক না পড়ে আসবে তারা মার্কেট থেকে কিনে নিবে অন্যথায় যাতে মার্কেটে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। (১৩). প্রত্যেক শপিংমলের পার্কিং লটে গাড়ি জীবানুমুক্ত করণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও ড্রাইভাররা যাথে একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়িতে অবস্থান করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এবং (১৪). শপিংমলগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালু থাকবে। তবে সিএনজিতে দুই জনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করা হলো। প্রতিটি যাত্রী এবং চালক মাস্ক পরিধান করবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
MD Hossain Roxy ৮ মে, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
This is totally Price less decision.
Total Reply(0)
Md Nasir Uddin ৮ মে, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
এত সিস্টেম না কইরা সরকারের উচিত রমজান পর্যন্ত মার্কেট বন্ধ রাখা এত সিস্টেমে চলবে না অনেকে মানবে না আপনারা তো শুধু কে তাদের নিয়ে চিন্তা করতেছেন যে যার এলাকা থেকে কিনবে দুই কিলোমিটার ভিতরে থাকতে হবে আরে ভাই অনেক বিক্রেতা আছে 10 কিলোমিটার দূরে থাকে সে কি করবে অনেক দোকান মহাজন´ আছে যে কিনা তার দোকান থেকে তার বাসা 10 কিলোমিটার দূরে সে কি করবে সবচেয়ে ভালো রমজান মাস পর্যন্ত শপিং মল সারা বাংলাদেশ বন্ধ রাখা
Total Reply(0)
Kazi Mohiuddin ৮ মে, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
কথা গুলো একেবারে সটিক। তবে মার্কেটের ভিতর কোন ফাস্ট ফুডের দোখান খোলা রাখা যাবেনা বা আশে পাশে কোন হোটেল খোলা থাকলে যারা রোজা না থাকে তারা গিয়ে আডডা দিবে। চা খাবে সিগারেট খাবে।
Total Reply(0)
Md Arif Khan ৮ মে, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
রাস্তায় যে ভ্যান গুলো বসে ও-ই গুলা উচ্ছেদ করুন। ওদের কারণে রাস্তায় হাটা যায় না। দখল করে রাখে। প্রত্যেক এলাকায় এরকম কয়েকশত ভ্যান রাস্তায় বসায়। শুধু মাত্র স্থায়ী বাজার/ দোকান এগুলো খোলা থাক। অস্থায়ী ভ্যান, দোকান সরিয়ে দেন। সাধারণ ছুটির কারণে রাস্তা ফাকা ছিলো কিন্তু এই সুজোগে মানুষ রাস্তায় ইচ্ছে মত ভ্যান বসিয়ে বেচাকেনা করছে। সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা করছে না। এগুলো এখন উচ্ছেদ না করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওদের আর সরানো যাবে না। রাস্তা গুলো দখল হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার সব জায়গা ভ্যানের রাজ্য হয়ে যাবে। ওদের কারনেই রাস্তায় মানুষ বেশি বের হয়। বাজার নির্দিষ্ট করে দেয়া উচিত যে এই স্থান ছাড়া আর কেউ ভ্যান/বাজার/অস্থায়ী দোকান বসাতে পারবে না। এইগুলো প্রত্যেক এলাকার কাউন্সিলর / এমপি দের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হোক।
Total Reply(0)
Mamun Kazi Borhan ৮ মে, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
সরকার যতই বিধিনিষেধ তুলে দিক, আমি/আমরা আরো কঠোর ভাবে লকডাউন মেনে চলবো। মনে রাখতে হবে, আমি/আপনি/আমরা সরকারের কাছে শুধুই একটি সংখ্যা, কিন্তু প্রিয়জনদের কাছে আমি /আপনি পুরো পৃথিবী।
Total Reply(0)
Shaikatchowdhury Shaikat ৮ মে, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
এই নির্দেশনা যদি শতভাগ মানানো যায় তাহলে ভালো হবে। তবে এর জন্য প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। তা না হলে ঢাকা শহর মহামারীতে আক্রান্ত হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন