বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আদালত কর্মচারীদের দন্ডাদেশ দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটকে চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২০, ১১:৩৪ পিএম

কুড়িগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট অভিজিৎ চৌধুরিকে ‘লিগ্যাল লেটার’ (চিঠি) পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট পি.এম.সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক গতকাল ই-মেইলে এ চিঠি পাঠান। কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের কর্মচারী আনসার আলী এবং মোশাররফ আলীকে হয়রানি এবং দন্ডাদেশ দেয়ার ঘটনায় তাকে এ চিঠি দেয়া হয়।
আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, আইনের যে ধারায় আপনি (অভিজিৎ চৌধুরী) সাজা দিয়েছেন, প্রথমত: আপনি এ আইনের ব্যবহারই করতে পারবেন না। তাই আপনাকে আগে আইন শিখতে হবে। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা(১)এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন তাহলে তিনি অনুর্ধ্ব ৩ মাস কারাদÐে, বা অনুর্ধ্ব ৫০ হাজার হাজার অর্থদÐে বা উভয় দÐে দÐিত হবে। এ রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ। এখানে তিনজন ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে। কোথাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কথা বলা হয়নি। ন্যায়বিচার এমন একটি শব্দ, যার সঙ্গে কিছু বিষয় এত নিবিড় ও গভীরভাবে জড়িত যে, এর যেকোনো একটির কোন রকম ব্যত্যয় ঘটলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
প্রসঙ্গত: গত ৫ মে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কুড়িগ্রাম শাখা থেকে জেলা জজ আদালতের কর্মচারীদের উৎসব ভাতার ৫ লাখ ৮০ হাজার ১৩০ টাকা উত্তোলন করে রিকশা করে আদালতে ফিরছিলেন আদালতের ক্যাশিয়ার মো. আনসার আলী ও অফিস সহায়ক মোশারফ আলী। এ সময় রিকশার গতি রোধ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরি। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার অভিযোগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে ২শ’ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে এলে ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কর্মকাÐ ব্যাপক সমালোচিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন