শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খামারিদের চোখে আশার আলো

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা মহামারীর থাবায় মুখ থুবড়ে পড়া মৎস ও পোল্ট্রি খামারিদের বাঁচাতে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র। এ সব ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশের খামারিরা তাদের মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি করছেন। এতে প্রান্তিক খামারিরা বেশ উপকৃত হচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সঙ্কটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের চাহিদা বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের প্রন্তিক খামারিরা ভ্যান, পিকআপ, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, অটোভ্যান, বাইসাইকেল, সিএনজি ও ট্রাককে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে তাদের পণ্য বিক্রি করছেন। করোনা সঙ্কটের মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনে সারাদেশে ৪৭ কোটি টাকার মাছ-মাংস, দুধ-ডিমসহ অন্যান্য মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি হয়েছে।

এই চরম সঙ্কটকালে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এমন ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করায় প্রান্তিক খামারিরা বেশ খুশি। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা বেঁচে থাকার কিছুটা হলেও অবলম্বন পেয়েছেন। ময়মনসিংহ জেলের ভালুকা উপজেলার পোল্ট্রি খামারি আরিফুল হক জানান, করোনার কারণে মুরগি বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রতি কেজি মাত্র ৪০/৫০ টাকায়ও বিক্রি করেছি। তাও ক্রেতা খুব একটা ছিল না। পাইকাররাও আসছিলেন না। এ অবস্থায় খামারের মুরগি নিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে ছিলাম। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করায় আমরা বেঁচে থাকার পথ পেয়েছি। ভ্যানে করে পিকআপে করে ঘুরে ঘুরে কিছু মরগি বিক্রি করতে পারছি। এছাড়া পাইকাররা অর্ডার করছে তাও পিকআপে পৌঁছে দিচ্ছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, জেলা ও উপজেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরগুলোর তত্ত্বাবধানে ৬৪ জেলায় গত বৃহস্পতিবার ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৯ টাকার মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে প্রাণিজ পণ্য বিক্রি হয় ৪০ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার ১১৮ টাকার । এসব পণ্যের মধ্যে ছিল ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬২২ লিটার দুধ, ১ কোটি ৯ লাখ ৭ হাজার ৯৩২ পিস ডিম, ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৩টি মুরগি এবং ৩৬ হাজার ৭৭৭টি টার্কি, হাঁস ও কবুতরসহ অন্য প্রাণি।

এছাড়া মৎস্য পণ্য বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ২৩ রাখ ৭৯ হাজার ৬৫১ টাকার। এর মধ্যে ছিল ৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৬২ কেজি রুই, কাতল, সিলভার কার্প, মৃগেল, শিং, মাগুর, ইলিশ, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ও সরপুটিসহ অন্যান্য মাছ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সব উপরে মন্তব্যেে লেখেছি । Halim Akonda ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়ার বাসি, করোনা ভাইরাসের মহামাতে এখন পযন্ত আমার এলাকা তো দূরের কথা আশে পাশে কোন এলাকায় দেখছি শুনিও নাই যে আমাদের খামারিদের পন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রালয়ে কিনে নেয়,,,,সত্যি স্যার শুধু আমাদের ফুলবাড়িয়া না সারা দেশেই অন্যান্য শিল্পের মতই আমাদেরপোল্ট্রি শিল্প ব্যপক ক্ষতি সাধন হয়েছে,, আমি ছোট একজন পোল্ট্রি ফিডস ব্যাবসায়ি,আমার খামারে ৩০/৩৫ হাজার লেয়ার মুরগী ছিল, ও বিভিন্ন খামারি মিলিয়ে প্রায় ৮০/৮৬ হাজার সবি লেয়ার মুরগী ছিল,,বিভিন্ন এনজিও ও আশে পাশে থেকে ঋন নিয়ে এখন ব্যপক দূর্রচিন্তায় দিন ঘুনছি,,,বাংলাদেশসরকারের উছিল্লায় আমার মত ক্ষতি গ্রস্ত্য মানুষকেআল্লাহ রহমত দান করেন আমিন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন