শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অঘোষিত ডিজিটাল বিপ্লব

সারাদেশে একই রকম ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা দিতে চান মোস্তাফা জব্বার

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঘরে বসেই চলছে অফিসের কাজ। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করছেন বাসা থেকে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা, চাল-ডাল-সবজীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা কোনকিছুর জন্যই বের হতে হচ্ছে না ঘর থেকে। প্রস্তুতি চলছে অনলাইনে আদালতের বিচারকার্য পরিচালনার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিই বদলে দিয়েছে সবকিছু। আকস্মিক এক পরিস্থিতিতে অঘোষিতভাবেই বিপ্লব ঘটে গেছে প্রযুক্তির।

প্রাণঘাতি এক ভাইরাস ঘরবন্দি করেছে মানুষকে। এজন্য ঘরে বসেই কাজকর্ম, ব্যবসা, কেনাকাটা, শিক্ষা কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বন্ধু, সহকর্মী, রাজনৈতিক কর্মীদের আড্ডাও থেমে নেই। হেয়াটস অ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার, ইমো এবং জুমের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চলছে প্রতিদিনের আড্ডা। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিরক্ষর-অর্ধ-শিক্ষিত মানুষটিও এখন প্রিয়জনের সাথে কথা বলছেন এসব মাধ্যমে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপরই বদলে যায় তথ্য-প্রযুক্তি খাত। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও তার ছেলে এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে দেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিকাশ ঘটে তথ্য-প্রযুক্তির। থ্রিজি-ফোরজি পর প্রস্তুতি চলছে ফাইভজি চালুর। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এমনকি বিচ্ছিন দ্বীপের বান্দিরাও এসেছেন তথ্য-প্রযুক্তির আওতায়। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, বৃদ্ধ-তরুণ সব বসয়সি মানুষই এখন জেনে গেছেন তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার।

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল জনগোষ্ঠিকে ইন্টারনেটের আওতায় আনার এবং প্রযুক্তিবান্ধব করে তোলার টার্গেট নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে অঘোষিতভাবেই বিপ্লব ঘটে গেছে তথ্য-প্রযুক্তিতে। ডিজিটাল বিপ্লবই হয়ে ওঠেছে যোগাযোগ, কাজ-কর্ম, শিক্ষা-চিকিৎসা-বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের লাইফস্টাইলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এটা আরও পরিবর্তন হবে। মানুষ এখন ঘরে বসেই কাজ করছে, কেনাকাটা করছে। অনলাইনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। করোনার কারণে অনেক বিষয়ে যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি দেশে প্রযুক্তিখাতে নতুন একটা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটা ধরতে হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) মহাসচিব জেমস পয়জ্যান্টস বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ ভালো করছে এবং যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। যেকোনও দেশের সফলতার মূল বিষয় হলো নেতৃত্ব। বাংলাদেশের তা আছে।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, ছুটি শুরু হওয়ার পর ইন্টারনেটের চাহিদা বেড়ে গেছে। আগে যেখানে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ চাহিদা ছিল এখন সেটি এক হাজার ৭০০ জিবিপিএসেরও বেশি।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেইটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ চাহিদা বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, বতর্মান সময়ে বাসা-বাড়িতে ভিডিও স্ট্রিমিং বেশি হচ্ছে, ইউটিউব বা ভিডিও কনফারেন্সে যাচ্ছে ব্যবহারকারীরা।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা চালুর মধ্যেই সীমিত থাকবে না। প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন ও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি আসবে। পুরনো পণ্যসেবাগুলোর জায়গায় হালনাগাদ পণ্যসেবা দ্রুত চালু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্টফোনের সক্ষমতা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ক্লাউড কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, রিয়েল-টাইম স্পিচ রিকগনিশন, ন্যানো কম্পিউটার, ওয়্যারেবল ডিভাইস ও নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন, সাইবার সিকিউরিটি, স্মার্ট সিটিজ, ইন্টারনেট সেবা আরো উন্নত হবে। ক্লাউড কম্পিউটিং ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের বিকাশ এ দশকে বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির দিশা পুরোদমে পাল্টে দেবে। অনলাইন কার্যক্রমে এখন যেভাবে নতুন নতুন ডিভাইস, কৌশল ও প্রবণতা ব্যাপক হারে চালু ও বিকশিত হচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের লাইফস্টাইলকে আমূল পাল্টে দেবে।

ঘরেই অফিস-মিটিং: ঘরে বসেই যে অফিসের সব কাজকর্ম পরিচালনা করা যায় এই ধারণাটা কিছুদিন আগেও মানুষের মধ্যে ছিল না। কিন্তু এখন ঘরবন্দি মানুষ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে করছে কাজকর্ম। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সভা করছেন অনলাইনে। দেশের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের বোর্ড মিটিং, প্রেস কনফারেন্সও হচ্ছে এই মাধ্যমে। বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আহমেদ বলেন, করোনার কারণে ঘরবন্দি রয়েছি। ঘরে থেকেই অফিসের বিভিন্ন মিটিংয়ে যুক্ত হচ্ছি। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান শুক্রবার একটি ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের এখন অনলাইনেই প্রেস কনফারেন্স করতে হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য কার্যক্রমও চলছে অনলাইনে।

একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সঙ্কটকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সাথে অনলাইনে যুক্ত হয়ে করোনা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর রাখছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্রিফিং করছে অনলাইনে। সরকারি কার্যক্রম চলছে এই মাধ্যমেই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা: ছুটির সময় শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যহত না হয় সেজন্য টেলিভিশন, ইউটিউবসহ নানা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলছে ক্লাস। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষা, এমনকি ভাইভাও অনলাইনে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এর মাধ্যমে দেশের কয়েক কোটি শিক্ষার্থী হয়ে উঠছেন প্রযুক্তিবান্ধব।

কেনাকাটা পণ্যের আদান-প্রদান: বিগত কয়েকবছর ধরেই অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল বাংলাদেশে। তবে এটি একটি শ্রেণির কাছেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই প্ল্যাটফর্মটি সার্বজনিন হয়ে ওঠেছে। চাল-ডাল মুদি সামগ্রী থেকে শুরু করে ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই অনলাইনে কেনার নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে এই সময়ে। শুধু সুপারশপ কিংবা বড় বড় দোকান থেকেই নয়, পাড়া-মহল্লার ছোট মুদি দোকানিও এখন শুরু করেছে অনলাইন বেচাবিক্রি। একদিন আগে অর্ডার দিলে পরের দিন গলি পথের মুদি দোকানি পৌঁছে দিচ্ছেন তার পণ্য। কাঁচাবাজার ফেরি করে বেড়ানো লোকটিও এখন মোবাইলের মাধ্যমে শিখেছেন পণ্য ডেলিভারি দেয়া।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য পণ্য বিক্রি কমে গেলেও অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমাগ্রী ব্রিক্রির পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটার ট্রেন্ড বাড়বে কারণ এখানে মানুষদের এখনো ঘরেই থাকতে হচ্ছে।

চিকিৎসা সেবায় তথ্যপ্রযুক্তি: ফাইভজির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল টেলিমেডিশিন। কিন্তু করোনাভাইরাস দেশের মানুষকে সীমিত আকারে হলেও বিদ্যমান ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তির মধ্যেই টেলিমেডিশিনে অভ্যস্ত করে তুলেছে। সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে সবধরণের যানবাহন। ফলে অসুস্থ রোগীরা এখন গ্রামে বসেই রাজধানীর বড় বড় ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন, দেখাচ্ছেন সমস্যাগুলো। আবার কিছু কিছু ডাক্তার ফেসবুকে গ্রুপ খুলে সেগুলোতেও পরামর্শ দিচ্ছেন রোগীদের। পুরনো রোগীরা তাদের প্রেসক্রিপশন হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারের পাঠিয়ে দিয়ে নিচ্ছেন নতুন পরামর্শ। এর সবই চলছে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। ফলে কোন রোগীকে আর হাজার হাজার টাকা খরচ করে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে হচ্ছে না।

অনলাইনে কৃষিপণ্য কেনাবেচা: লকডাউনের সময় দেশের কোন অঞ্চলে কৃষিপণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আবার কোন অঞ্চলে কৃষি পণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নতুন একটি মার্কেটিং সিস্টেম তৈরির চিন্তা করছে সরকার। এজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষিপণ্য যথাযথভাবে বিপণনের মাধ্যমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে জাতীয়ভাবে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, পঁচনশীল পণ্যের দাম কোথাও বেশি আবার কোথাও কম। এজন্য আমরা একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করব। যার মাধ্যমে ক্রেতা অর্ডার দেবেন, কিছু রেজিস্টার্ড ট্রাক চাহিদা অনুযায়ী কৃষিপণ্য পৌঁছে দেবে।

এদিকে প্রযুক্তির বিপ্লবের সাথে ভোগান্তিরও অভিযোগ রয়েছে অনেকের। বিশেষ করে স্বল্প স্পেকট্রাম দিয়ে বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে সেবা দেয়ার কারণে ধীরগতির ইন্টারনেট, কাক্সিক্ষত মানের সেবা না পাওয়া, জেলা-উপজেলা শহরে ফোরজির নামে প্রতারণাসহ শিকার হচ্ছেন অনেক গ্রাহক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে প্রায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।

রবির শাহেদ আহমেদ বলেন, হঠাৎ করেই বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গেছেন। ঈদ বা অন্য সময়ে আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি থাকে এজন্য ক্যাপাসিটি এনহেন্স বাড়ানো হয়। কিন্তু এবার হঠাৎ করেই ছুটি ঘোষণার ফলে সেটি করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া স্পেকট্রামের সঙ্কট তো আছেই। গ্রামীণফোনের ইয়াসির আজমান বলেন, আমরা স্পেকট্রাম কেনার চেষ্টা করছি। এছাড়া দীর্ঘদিন আমাদের এনওসি দেয়া বন্ধ ছিল, এখন বিটিআরসি সেটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আমরা যন্ত্রপাতি আমদানি করেছি। চেষ্টা করছি কোয়ালিটি সার্ভিস দেয়ার জন্য।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি মন্ত্রী হওয়ার পরপরই চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলাম। সেগুলো হচ্ছে- অভ্যন্তরীণ বাজার, ইন্টারনেট, পুরো সরকারকে ডিজিটাল করা এবং শিক্ষা খাতে ডিজিটাল রূপান্তর। কারণ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বাহক হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটকে যেন জনগণ সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা ইনফো সরকারের মাধ্যমে দেশের ইউনিয়নে পর্যন্ত ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। পার্বত্য এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হচ্ছে। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ঢাকার গ্রাহক যেমন ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা পায়, সেই একই অভিজ্ঞতা যেনো একই দামে তেতুলিয়ার একজন গ্রাহকও পায় সেটা নিশ্চিত করা। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
মশিউর ইসলাম ১০ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমরা পুরো পৃথিবীকেই যেন হাতের মুঠোই পেয়ে গেছি।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ কাজী নুর আলম ১০ মে, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
ডিজিটাল প্রযুক্তি না থাকলে আজ মানুষ কি করতো ভাবা যায়। অথচ ইন্টারনেটের কল্যাণে ঘরে বসেই অফিসের কাজ থেকে শুরু করে কেনাটকাটা লেনদেন সবই হচ্ছে। আলহৈামদুলিল্লাহ
Total Reply(0)
সাকা চৌধুরী ১০ মে, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Total Reply(0)
নীল প্রজাপতি ১০ মে, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশে ডিজিটাল বিপ্লব হচ্ছে। এটা আমাদের অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। গ্রামগঞ্জে সর্বত্র আজ এই সুবিধা পৌঁছে গেছে।
Total Reply(0)
মোঃ তোফায়েল হোসেন ১০ মে, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে কতটা সহজ করে দিছে। আসলে ভাবলে অনেক সময় অবাক লাগে।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১০ মে, ২০২০, ৮:১২ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অঙ্গীকারে ক্ষমতায় এসেছিল। এরপরই বদলে যায় তথ্য-প্রযুক্তি খাত। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও তার ছেলে এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে দেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিকাশ ঘটে তথ্য-প্রযুক্তির। থ্রিজি-ফোরজি পর প্রস্তুতি চলছে ফাইভজি চালুর। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এমনকি বিচ্ছিন দ্বীপের বাসিন্দারাও এসেছেন তথ্য-প্রযুক্তির আওতায়। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, বৃদ্ধ-তরুণ সব বসয়সি মানুষই এখন জেনে গেছেন তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল জনগোষ্ঠিকে ইন্টারনেটের আওতায় আনার এবং প্রযুক্তিবান্ধব করে তোলার টার্গেট নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে অঘোষিতভাবেই বিপ্লব ঘটে গেছে তথ্য-প্রযুক্তিতে। ডিজিটাল বিপ্লবই হয়ে ওঠেছে যোগাযোগ, কাজ-কর্ম, শিক্ষা-চিকিৎসা-বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। এককথায় বলতে গেলে বলতে হয় জননেত্রীর সুযোগ্য সন্তান জয়ের কারনেই আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপায়িত হয়েছে। এরপরও আমরা বাঙালীরা কত কথা বলি জননেত্রী হাসিনাকে নিয়ে এটা কি উচিৎ?? জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে ইতিহাস সৃষ্টী করে গেছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত করে আরএক ইতিহাস রচনা করেছেন। সাথে সাথে নেত্রী হাসিনার ছেলে জাতীর জনকের নাতী জয় দেশকে ডিজিটাল দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। আমার হিসাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এরপর তারই কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে উন্নতীর শিখরে নিয়েছেন। তাঁর সাথে সাথে তাঁর স্বামী ওয়াজেদ মিয়া দেশকে বিজ্ঞানের জগতে পরিচিতি করিয়েছেন। এখন আবার তাদের পুত্র সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় দেশকে ডিজিটাল করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই পরিবারের সকল সদস্যই যে অবদান রেখেছে এবং রাখছে তাঁরই প্রমাণ করেগেছেন। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে দেশ ও দেশবাসীর সেবা করার সুযোগ দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
AK Fazlul huq reza ১০ মে, ২০২০, ৯:২৫ এএম says : 0
নেটের গতি বাড়াতে হবে এবং দাম কমাতে হবে তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন